Dental Chamber Mirpur-10 – আপনার পরিবারের জন্য আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য ডেন্টাল সেবা

c0d07c92 12cc 4fb9 aa05 2f2995dd8e81

Dental Chamber এইচ আর টিডি ডেন্টাল সার্ভিসেস – HRTD Dental Services, মিরপুর-১০
ঠিকানা: মিরপুর ১০, ঢাকা
যোগাযোগ: ০১৭৯৭৫২২১৩৬ | ০১৯৮৭০৭৩৯৬৫ | ০১৭৮৪৫৭২১৭৩

Table of Contents

পরিচিতি: মিরপুর ১০-এর সেরা ডেন্টাল চেম্বার(Dental Chamber)

মিরপুর-১০ এলাকার হৃদয়ে অবস্থিত এইড আর টিডি ডেন্টাল সার্ভিসেস (HRTD Dental Services) হচ্ছে একটি বিশ্বস্ত, আধুনিক ও সর্বাধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর দাঁতের চিকিৎসাকেন্দ্র। আমরা শুধু দাঁতের চিকিৎসা দিই না, বরং আপনার মুখগহ্বরের সুস্থতা ও সৌন্দর্যের জন্য দীর্ঘমেয়াদী সমাধান প্রদান করি।

আমাদের লক্ষ্য একটাই – আপনার হাসি আরও উজ্জ্বল ও স্বাস্থ্যকর করে তোলা।

আমাদের বৈশিষ্ট্য

অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডেন্টাল সার্জন
আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন যন্ত্রপাতি
স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পরিবেশ
ব্যথাহীন ও আরামদায়ক চিকিৎসা
সাশ্রয়ী খরচে উন্নতমানের ট্রিটমেন্ট
নারী ও শিশুদের জন্য বিশেষ যত্ন

আমরা যেসব চিকিৎসা প্রদান করি:Dental Chamber Mirpur-10

১. স্কেলিং ও পলিশিং (Scaling & Polishing):Dental Chamber Mirpur-10

স্কেলিং ও পলিশিং (Scaling & Polishing): দাঁতের যত্নে অপরিহার্য একটি চিকিৎসা পদ্ধতি

দাঁতের যত্ন নেওয়া শুধু সৌন্দর্য রক্ষার জন্য নয়, মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্যও অত্যন্ত জরুরি। সময়ের সাথে দাঁতের গায়ে জমে যায় নানা ধরনের ময়লা, যেমন– ডেন্টাল প্লাক ও টার্টার (calculus), যা শুধু ব্রাশ করেই সম্পূর্ণভাবে দূর করা যায় না। এই অবস্থায় দাঁতের স্কেলিং ও পলিশিং একটি অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি দন্ত চিকিৎসকদের দ্বারা করানো হয় এবং এটি দাঁতের গভীর পরিচ্ছন্নতার জন্য ব্যবহৃত হয়।

স্কেলিং কী?

স্কেলিং হলো দাঁতের গায়ে জমে থাকা শক্ত ময়লা বা টার্টার (যা ব্রাশে পরিষ্কার হয় না) যান্ত্রিক উপায়ে সরিয়ে ফেলার পদ্ধতি। সাধারণত আল্ট্রাসোনিক স্কেলার (Ultrasonic scaler) নামক একটি আধুনিক যন্ত্র ব্যবহার করে দাঁতের উপরিভাগ ও গামলাইন (gum line) থেকে এই ময়লা সরানো হয়। এই যন্ত্রটি উচ্চ-কম্পাঙ্কে কাঁপে এবং পানির স্প্রে ব্যবহার করে টার্টার ও জীবাণু ধুয়ে ফেলে।

পলিশিং কী?

পলিশিং হলো স্কেলিং এর পরবর্তী ধাপ। স্কেলিং করার পর দাঁতের উপরিভাগ কিছুটা রুক্ষ হয়ে যায়। সেই রুক্ষতা দূর করে দাঁতের স্বাভাবিক মসৃণতা ফিরিয়ে আনার জন্য একটি মৃদু ঘষণ প্রক্রিয়া চালানো হয়, যাকে পলিশিং বলা হয়। এতে দাঁত ঝকঝকে, উজ্জ্বল এবং চকচকে দেখায়। পলিশিং-এর জন্য সাধারণত রাবার কাপ ও মৃদু ঘষণযুক্ত পেস্ট ব্যবহার করা হয়।

স্কেলিং ও পলিশিং কখন দরকার হয়?
  • দাঁতের গায়ে পাথরের মতো টার্টার জমে গেলে
  • মাড়ি ফুলে গেলে বা রক্ত পড়লে
  • মুখে দুর্গন্ধ হলে
  • দীর্ঘদিন দাঁতের পেশাদার পরিচর্যা না করলে
  • ব্রাশ করলেও দাঁত হলদে বা ময়লাযুক্ত দেখালে

প্রতিবার স্কেলিং ও পলিশিং করানোর পরে দাঁত অনেক বেশি পরিষ্কার ও সতেজ অনুভব হয়।

উপকারিতা
  1. মুখের দুর্গন্ধ কমে যায়
  2. মাড়ির রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে
  3. দাঁতের রঙ উজ্জ্বল হয়
  4. দাঁত পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা কমে
  5. বিভিন্ন ইনফেকশন থেকে সুরক্ষা মেলে
কত ঘন ঘন স্কেলিং প্রয়োজন?

দাঁতের অবস্থা অনুযায়ী চিকিৎসকরা সাধারণত প্রতি ৬ মাসে একবার স্কেলিং ও পলিশিং করাতে পরামর্শ দেন। যাদের দাঁতের সমস্যা বেশি, ধূমপান করেন বা ডায়াবেটিস রয়েছে, তাদের আরও ঘন ঘন চিকিৎসা দরকার হতে পারে।

স্কেলিং ও পলিশিং হলো একটি নিরাপদ ও ব্যথাহীন চিকিৎসা পদ্ধতি, যা দাঁতের সামগ্রিক সুস্থতা বজায় রাখতে অত্যন্ত কার্যকর। এটি দাঁতের সৌন্দর্য তো বাড়ায়ই, পাশাপাশি দীর্ঘমেয়াদী দাঁতের রোগ থেকেও আমাদের রক্ষা করে। তাই সময়মতো স্কেলিং ও পলিশিং করিয়ে সুস্থ ও ঝকঝকে দাঁতের অধিকারী হওয়া আমাদের সবারই প্রয়োজন।

২. দাঁতের ফিলিং (Dental Filling):Dental Chamber Mirpur-10

দাঁতের ফিলিং (Dental Filling): দাঁতের ক্ষয় রোধে একটি কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি

দাঁতের ফিলিং হল একটি সাধারণ কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডেন্টাল চিকিৎসা, যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত বা ক্যাভিটি আক্রান্ত দাঁত পুনরায় মেরামত করা হয়। আমাদের দাঁত বিভিন্ন কারণে ক্ষয় হতে পারে – যেমন: নিয়মিত দাঁত পরিষ্কার না রাখা, অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া, জীবাণুর আক্রমণ ইত্যাদি। দাঁতের এই ক্ষয় রোধ করতে এবং দাঁতের গঠন ও কার্যক্ষমতা বজায় রাখতে ফিলিং একটি কার্যকর সমাধান।

দাঁতের ফিলিং কী?

দাঁতের ফিলিং হলো একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে দাঁতের ক্ষয় হওয়া অংশ পরিষ্কার করে সেখানে বিশেষ ফিলিং উপাদান দিয়ে পূরণ করা হয়। এর ফলে দাঁতের ভিতরে আর জীবাণু ঢুকতে পারে না এবং দাঁতের মূল গঠন ও কার্যক্ষমতা আবার ফিরিয়ে আনা যায়।

কেন দাঁতের ফিলিং প্রয়োজন হয়?
  1. ক্যাভিটি বা গর্ত হলে
  2. দাঁতের মধ্যে ব্যথা বা সেনসিটিভিটি অনুভব করলে
  3. দাঁতের কোনো অংশ ভেঙে গেলে
  4. পুরনো ফিলিং নষ্ট হয়ে গেলে
  5. দাঁতের চেহারা বা আকৃতি ঠিক রাখতে চাইলে (কসমেটিক কারণে)
ফিলিংয়ের ধরণসমূহ

দাঁতের ফিলিং বিভিন্ন ধরনের উপকরণ দিয়ে করা হয়। নিচে কিছু প্রচলিত উপকরণের তালিকা দেওয়া হলো:

  1. কম্পোজিট রেজিন (Composite Resin):
    – দাঁতের রঙের মতো দেখতে, দেখতে একদম প্রাকৃতিক
    – সামনের দাঁতে ব্যবহার উপযোগী
    – কসমেটিক ফিলিংয়ে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত
  2. অ্যামালগাম (Amalgam):
    – রুপালি রঙের ধাতব মিশ্রণ
    – পিছনের দাঁতের জন্য ভালো, কারণ এটি খুব টেকসই
  3. গ্লাস আয়নোমার (Glass Ionomer):
    – সাধারণত শিশুদের দাঁতে ব্যবহৃত হয়
    – এটি ফ্লোরাইড নির্গত করে, যা দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে সাহায্য করে
  4. সিরামিক বা পোরসেলিন ফিলিং:
    – দামী কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী এবং সৌন্দর্যজনক
ফিলিংয়ের উপকারিতা
  • দাঁতের ব্যথা ও সেনসিটিভিটি কমায়
  • দাঁতের শক্তি ও গঠন পুনরুদ্ধার করে
  • জীবাণুর আক্রমণ থেকে দাঁতকে রক্ষা করে
  • দাঁতের সৌন্দর্য ও স্বাভাবিক কার্যকারিতা বজায় রাখে
  • দাঁত তুলতে না হয়ে রক্ষা করার সুযোগ দেয়
ফিলিং করানোর পর কী করবেন?
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কিছু না খাওয়া ভালো
  • খুব শক্ত বা আঠালো খাবার এড়িয়ে চলা উচিত
  • নিয়মিত ব্রাশ ও ফ্লস ব্যবহার করতে হবে
  • প্রতি ৬ মাসে একজন ডেন্টিস্টের চেকআপ করানো উচিত

দাঁতের ফিলিং একটি সহজ, নিরাপদ ও কার্যকর চিকিৎসা পদ্ধতি যা দাঁতের ক্ষয়, গর্ত ও অন্যান্য সমস্যা প্রতিরোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সময়মতো ফিলিং না করালে দাঁতের ক্ষতি আরও বাড়তে পারে, এমনকি দাঁত তুলেও ফেলতে হতে পারে। তাই দাঁতের সামান্য সমস্যা হলেও অবহেলা না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ফিলিং করিয়ে নেওয়া উচিত। সুস্থ দাঁত মানেই সুস্থ জীবন।

৩. রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট (RCT):Dental Chamber Mirpur-10

রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট (Root Canal Treatment – RCT): দাঁত বাঁচানোর আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি

রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট (RCT) হলো দাঁতের মজ্জার (pulp) ক্ষয় বা সংক্রমণ হলে সেটি অপসারণ করে দাঁত সংরক্ষণ করার একটি অত্যন্ত কার্যকর ও আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। দাঁতের ভেতরে যে নরম টিস্যু বা নার্ভ থাকে, সেটিতে যদি ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়, তাহলে দাঁতে প্রচণ্ড ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা এমনকি পুঁজ জমে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই অবস্থায় দাঁত তুলে ফেলার পরিবর্তে RCT করে সেই দাঁতটিকেই দীর্ঘমেয়াদে ব্যবহারযোগ্য রাখা সম্ভব।

RCT কখন প্রয়োজন হয়?
  • দাঁতে দীর্ঘস্থায়ী ও তীব্র ব্যথা হলে
  • গরম বা ঠান্ডা খাবারে অতিরিক্ত সংবেদনশীলতা হলে
  • দাঁত থেকে পুঁজ বের হলে
  • দাঁত ভেঙে গিয়ে ভেতরের নার্ভ উন্মুক্ত হলে
  • দাঁতের গোড়া ফুলে গেলে বা গাম ফোলা অনুভব হলে

এই সকল উপসর্গ দেখা দিলে দেরি না করে একজন দন্ত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

রুট ক্যানাল চিকিৎসা প্রক্রিয়া

১. এক্স-রে ও মূল্যায়ন: প্রথমে দাঁতের অবস্থা নির্ণয় করতে এক্স-রে করা হয়।

২. অ্যানেস্থেশিয়া: আক্রান্ত দাঁতের অংশে লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া (local anesthesia) প্রয়োগ করে ব্যথা অনুভূতি বন্ধ করা হয়।

৩. পাল্প অপসারণ: দাঁতের ভেতরের সংক্রমিত মজ্জা বা নার্ভ ফাইল দিয়ে পরিষ্কার করা হয়।

৪. ডিসইনফেকশন ও ফিলিং: জীবাণুমুক্ত করে দাঁতের ভেতর বিশেষ ফিলিং দিয়ে পূরণ করা হয়।

৫. ক্যাপ বসানো (Crowning): RCT এর পরে দাঁত দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই সেটির উপর একটি ডেন্টাল ক্যাপ বসিয়ে আরও মজবুত করে তোলা হয়।

RCT-এর উপকারিতা
  • সংক্রমিত দাঁত অপসারণ না করেই রক্ষা করা যায়
  • ব্যথা ও ইনফেকশন থেকে মুক্তি মেলে
  • দাঁতের স্বাভাবিক কাজ চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়
  • মুখগহ্বরের স্বাভাবিক সৌন্দর্য বজায় থাকে
  • চিবানোর ক্ষমতা ও হাসির সৌন্দর্য অটুট থাকে
চিকিৎসার পর করণীয়
  • চিকিৎসকের পরামর্শমতো ব্যথানাশক বা অ্যান্টিবায়োটিক গ্রহণ
  • কয়েক দিন শক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
  • নির্ধারিত সময়ে দাঁতের ক্যাপ বসানো
  • নিয়মিত ব্রাশ ও ফ্লস করা
  • প্রতি ৬ মাস পরপর দাঁতের চেকআপ

রুট ক্যানাল ট্রিটমেন্ট হলো এমন একটি আধুনিক ও নির্ভরযোগ্য চিকিৎসা পদ্ধতি, যা ব্যথা উপশম করে দাঁত রক্ষা করে দীর্ঘমেয়াদে স্বাভাবিক জীবনযাপন নিশ্চিত করে। দাঁতের মজ্জায় সংক্রমণ দেখা দিলে দেরি না করে RCT করিয়ে নেওয়া উচিত, কারণ একটি দাঁত হারালে শুধু মুখের সৌন্দর্য নয়, চিবানো এবং কথা বলার স্বাভাবিকতা পর্যন্ত ব্যাহত হতে পারে।

৪. ক্রাউন ও ব্রিজ (Dental Crown & Bridge):Dental Chamber Mirpur-10

ক্রাউন ও ব্রিজ (Dental Crown & Bridge): দাঁতের শক্তি ও সৌন্দর্য রক্ষার আধুনিক সমাধান

দাঁতের ক্ষয়, ভাঙন কিংবা হারিয়ে যাওয়া দাঁতের কারণে শুধু মুখের সৌন্দর্য নষ্ট হয় না, বরং চিবানো, কথা বলা এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। এসব সমস্যা সমাধানে আধুনিক দন্ত চিকিৎসায় দুটি কার্যকরী পদ্ধতি হলো ক্রাউন (Crown)ব্রিজ (Bridge)। এই দুটি চিকিৎসা দাঁতের গঠন ও কার্যকারিতা পুনরুদ্ধারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

ডেন্টাল ক্রাউন (Dental Crown) কী?

ডেন্টাল ক্রাউন হলো একটি কেপ বা ঢাকনা যা ক্ষতিগ্রস্ত, দুর্বল বা রুট ক্যানালের পর দুর্বল হয়ে পড়া দাঁতের উপর বসানো হয়। এটি দাঁতের আকৃতি, আকার, শক্তি ও সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে।

ক্রাউন ব্যবহারের কারণ:

  • ভাঙা বা ক্ষতিগ্রস্ত দাঁত পুনর্গঠন করতে
  • রুট ক্যানাল চিকিৎসার পর দাঁতকে সুরক্ষা দিতে
  • বড় ক্যাভিটি ফিলিংয়ের পরে দাঁতকে ঢেকে রাখতে
  • কসমেটিক কারণে দাঁতের আকৃতি বা রঙ পরিবর্তনে

ক্রাউনের ধরণ:

  1. মেটাল ক্রাউন (Metal Crown)
  2. পোরসেলিন ফিউজড টু মেটাল (PFM)
  3. অল-সেরামিক বা অল-পোরসেলিন
  4. জিরকোনিয়া ক্যাপ
  5. রেজিন ক্রাউন (স্বল্পমেয়াদী)
ডেন্টাল ব্রিজ (Dental Bridge) কী?

ডেন্টাল ব্রিজ এমন একটি স্থায়ী ডেন্টাল প্রস্থেটিক, যা এক বা একাধিক অনুপস্থিত দাঁতের ফাঁকা স্থান পূরণে ব্যবহৃত হয়। এটি পাশের প্রাকৃতিক দাঁত বা ইমপ্লান্টের উপর ভর করে বসানো হয়।

ব্রিজ ব্যবহারের কারণ:

  • দাঁত হারানোর ফলে মুখে ফাঁকা স্থান পূরণ
  • দাঁতের সারিবিন্যাস ঠিক রাখা
  • চিবানোর ক্ষমতা ও কথা বলার স্পষ্টতা রক্ষা
  • মুখের গঠন ঠিক রাখা

ব্রিজের ধরণ:

  1. ট্র্যাডিশনাল ব্রিজ (Traditional Bridge)
  2. ক্যান্টিলিভার ব্রিজ (Cantilever Bridge)
  3. মেরিল্যান্ড ব্রিজ (Maryland Bridge)
  4. ইমপ্লান্ট-সাপোর্টেড ব্রিজ
ক্রাউন ও ব্রিজের উপকারিতা
  • দাঁতের সৌন্দর্য ও কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার
  • দাঁত হারানোর কারণে মুখের গঠন বা হাসির সৌন্দর্য নষ্ট হওয়া রোধ
  • দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই সমাধান
  • চিবানো ও কথা বলার ক্ষমতা উন্নত করে
  • আশপাশের দাঁতের অপ্রত্যাশিত সরণ রোধ করে
চিকিৎসা পরবর্তী যত্ন
  • শক্ত ও আঠালো খাবার খাওয়া কমাতে হবে
  • দিনে দুইবার ব্রাশ ও ফ্লস করা
  • ডেন্টিস্টের নিয়মিত চেকআপ
  • ব্রিজ বা ক্রাউন নড়াচড়া করলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়া

ক্রাউন ও ব্রিজ হল আধুনিক দন্ত চিকিৎসার দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি, যা দাঁতের সৌন্দর্য ও কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধারে অত্যন্ত কার্যকর। দাঁত নষ্ট হওয়া বা পড়ে যাওয়ার পর সঠিক সময়ে এই চিকিৎসা গ্রহণ করলে মুখগহ্বরের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য দীর্ঘদিন বজায় থাকে। সময়মতো ডেন্টাল ক্রাউন ও ব্রিজ করিয়ে নিতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই শ্রেয়।

৫. দাঁত ওঠানো (Tooth Extraction):Dental Chamber Mirpur-10

দাঁত ওঠানো (Tooth Extraction): কখন এবং কেন প্রয়োজন হয়?

দাঁত ওঠানো বা Tooth Extraction হলো একটি ডেন্টাল প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত, সংক্রমিত বা অতিরিক্ত দাঁতকে মুখগহ্বর থেকে অপসারণ করা হয়। যদিও দন্ত চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে প্রাকৃতিক দাঁত সংরক্ষণ করা, কিন্তু কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে দাঁত তুলেই সমস্যার স্থায়ী সমাধান করা সবচেয়ে নিরাপদ ও কার্যকর উপায় হয়ে দাঁড়ায়।Dental Chamber Mirpur-10

কেন দাঁত ওঠানো প্রয়োজন হয়?

দাঁত তুলতে হয় তখনই, যখন দাঁতটি এতটাই ক্ষতিগ্রস্ত বা সংক্রমিত হয় যে সেটি রক্ষা করা সম্ভব হয় না। নিচে দাঁত ওঠানোর কিছু সাধারণ কারণ তুলে ধরা হলো:

  1. গভীর ক্যাভিটি বা দাঁতের পচন:
    যখন দাঁতের ক্ষয় গভীর হয়ে মূলে পৌঁছে যায় এবং রুট ক্যানালেও দাঁত রক্ষা সম্ভব হয় না।
  2. দাঁতের সংক্রমণ (Infection):
    দাঁতের মজ্জা (pulp) বা আশপাশের হাড়ে সংক্রমণ ছড়িয়ে গেলে।
  3. অতিরিক্ত দাঁত (Impacted or extra tooth):
    বাচ্চাদের দাঁত উঠতে সমস্যা হলে বা অতিরিক্ত দাঁত চিবানোর লাইনে বাঁধা সৃষ্টি করলে।
  4. আক্কেল দাঁত (Wisdom Tooth) সমস্যা:
    অনেক সময় আক্কেল দাঁত মুখের ভেতরে সঠিকভাবে না উঠে ব্যথা ও সংক্রমণের সৃষ্টি করে।
  5. গাম ডিজিজ বা পিরিয়োডন্টাল রোগ:
    মাড়ির রোগের কারণে দাঁতের চারপাশের হাড় দুর্বল হয়ে দাঁত নড়বড়ে হয়ে পড়লে।
  6. ব্রেস বা অরথোডন্টিক চিকিৎসার জন্য স্থান তৈরি করতে।Dental Chamber Mirpur-10
দাঁত ওঠানোর প্রক্রিয়া

দাঁত ওঠানোর আগে চিকিৎসক আপনার চিকিৎসা ইতিহাস যাচাই করে এবং এক্স-রে করে দাঁতের শিকড় ও আশেপাশের হাড়ের অবস্থা দেখে সিদ্ধান্ত নেন।

পদ্ধতিটি সাধারণত নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করে:

  1. অ্যানেস্থেশিয়া প্রয়োগ:
    লোকাল অ্যানেস্থেশিয়া দিয়ে ব্যথা অনুভূতি বন্ধ করা হয়।
  2. দাঁত আলগা করা:
    দাঁতের চারপাশে যন্ত্র (elevator) ব্যবহার করে দাঁত আলগা করা হয়।
  3. দাঁত তুলে ফেলা:
    চিমটা (forceps) ব্যবহার করে দাঁত সতর্কভাবে তোলা হয়।
  4. প্রয়োজনে সেলাই করা:
    যদি দাঁতের গোড়া গভীরে থাকে বা কাটাছেঁড়া হয়, তবে সেলাই দেওয়া হয়।
দাঁত তোলার পর করণীয় যত্ন
  • তুলা চেপে রাখুন রক্ত বন্ধ করার জন্য (৩০-৪৫ মিনিট)।
  • ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঠান্ডা পানীয় বা বরফের সেঁক দিন।
  • গরম, ঝাল, শক্ত ও চিবাতে হয় এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।
  • দাঁত তোলার জায়গায় বারবার আঙুল বা জিভ না লাগানো।
  • ২৪ ঘণ্টা পর লবণ-পানি দিয়ে কুলি করা শুরু করতে পারেন।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ করুন।
সম্ভাব্য জটিলতা
  • অতিরিক্ত রক্তপাত
  • ইনফেকশন বা পুঁজ জমা
  • ড্রাই সকেট (dry socket)
  • মুখ খোলা কঠিন হওয়া বা ব্যথা অনুভব করা

তবে অভিজ্ঞ ডেন্টিস্টের তত্ত্বাবধানে দাঁত তুললে এই জটিলতাগুলো সাধারণত খুবই কম হয়।

দাঁত ওঠানো একটি সাধারণ ও নিরাপদ ডেন্টাল প্রক্রিয়া, তবে এটি যথাযথ কারণ ও অভিজ্ঞ ডেন্টিস্টের পরামর্শ অনুযায়ী করানো উচিত। দাঁতের সমস্যা দেখা দিলে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া শ্রেয়। দাঁত ওঠানোর পর সঠিকভাবে যত্ন নিলে দ্রুত সুস্থ হওয়া সম্ভব এবং ভবিষ্যতের জটিলতা এড়ানো যায়।Dental Chamber Mirpur-10

৬. বাচ্চাদের দাঁতের চিকিৎসা (Pediatric Dentistry):Dental Chamber Mirpur-10

বাচ্চাদের দাঁতের চিকিৎসা (Pediatric Dentistry): শিশুদের সুস্থ হাসির প্রথম পদক্ষেপ

শিশুর দাঁত শুধু খাওয়ার বা কথা বলার জন্য নয়, বরং তাদের সামগ্রিক স্বাস্থ্য, বিকাশ ও আত্মবিশ্বাসের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই ছোটবেলা থেকেই সঠিক ডেন্টাল কেয়ার ও নিয়মিত চিকিৎসা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। এই চিকিৎসা শাখাকেই বলা হয় পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি (Pediatric Dentistry) – যা মূলত শিশুদের দাঁত, মাড়ি ও মুখগহ্বরের যত্ন এবং চিকিৎসার সাথে সম্পর্কিত।

পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি কী?

পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি হল দাঁতের চিকিৎসার একটি বিশেষ শাখা যা নবজাতক থেকে শুরু করে কিশোর বয়স পর্যন্ত শিশুদের দাঁতের যত্ন ও চিকিৎসা প্রদান করে। এই চিকিৎসকরা শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের ধরন বুঝে উপযুক্ত চিকিৎসা প্রদান করেন, যাতে শিশুরা ভয় বা অস্বস্তি ছাড়া চিকিৎসা নিতে পারে।Dental Chamber Mirpur-10

বাচ্চাদের দাঁতের সাধারণ সমস্যা
  1. বেবি টুথ (দুধ দাঁত) পড়ে না যাওয়া
  2. ক্যাভিটি বা দাঁতের ক্ষয়
  3. দাঁত ভেঙে যাওয়া বা আঘাত পাওয়া
  4. মাড়ির ফোলা ও রক্ত পড়া
  5. অতিরিক্ত দাঁত বা দাঁতের সারি বক্রতা
  6. থাম্ব সাকিং বা আঙুল চোষার অভ্যাসজনিত সমস্যা
বাচ্চাদের দাঁতের চিকিৎসার আওতায় যা থাকে:
  1. ফ্লোরাইড ট্রিটমেন্ট ও সিল্যান্ট: দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে দাঁতের উপর ফ্লোরাইড প্রয়োগ এবং খাঁজে সিল্যান্ট বসানো হয়।
  2. ক্যাভিটি ফিলিং: দুধ দাঁতেও ক্যাভিটি হলে ফিলিং করা প্রয়োজন যাতে সংক্রমণ না ছড়ায়।
  3. স্পেস মেইনটেইনার: দুধ দাঁত অকালপক্ব পড়ে গেলে নতুন দাঁতের জন্য যথাযথ জায়গা রাখতে এটি ব্যবহার করা হয়।
  4. দাঁত ওঠানোর চিকিৎসা: দুধ দাঁত পড়ছে না বা নতুন দাঁত সঠিকভাবে উঠছে না, এমন ক্ষেত্রে দাঁত তোলা হয়।
  5. দাঁতের গঠন ঠিক রাখার জন্য ওর্থোডন্টিক রেফারাল: দাঁতের সারিবিন্যাস ঠিক রাখতে প্রয়োজনে ব্রেসের চিকিৎসায় পাঠানো হয়।
শিশুর দাঁতের যত্ন নেওয়ার টিপস
  • প্রথম দাঁত ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই দাঁতের যত্ন শুরু করুন
  • দিনে অন্তত দু’বার ব্রাশ করার অভ্যাস গড়ে তুলুন
  • শিশুর খাবারে অতিরিক্ত চিনি কমান
  • বোতলে করে দুধ খাওয়ানো কমিয়ে দিন (বিশেষ করে রাতে)
  • প্রতি ৬ মাস অন্তর পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্টের কাছে চেকআপ করুন
পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্ট্রি কেন গুরুত্বপূর্ণ?
  • শিশুদের মানসিকতা অনুযায়ী বন্ধুবান্ধব পরিবেশে চিকিৎসা করা যায়
  • প্রাথমিক পর্যায়ে দাঁতের সমস্যা ধরা পড়ে
  • দাঁতের ভয় কাটানো সম্ভব হয়
  • আজীবন ভালো ও স্বাস্থ্যকর ডেন্টাল অভ্যাস তৈরি হয়

বাচ্চাদের সুস্থ ও সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য দাঁতের যত্ন নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। সময়মতো পেডিয়াট্রিক ডেন্টিস্টের পরামর্শ নিয়ে শিশুর দাঁতের সমস্যা প্রতিরোধ ও চিকিৎসা করলে দাঁতের বড় জটিলতা থেকে রক্ষা পাওয়া সম্ভব। মনে রাখবেন, একটি সুন্দর হাসির শুরু হয় ছোটবেলার সঠিক যত্ন থেকেই।

৭. অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (Braces & Alignment):Dental Chamber Mirpur-10

অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (Braces & Alignment): সোজা দাঁত, সুন্দর হাসি—Dental Chamber Mirpur-10

অর্থোডন্টিক চিকিৎসা (Orthodontic Treatment) হলো দাঁতের সঠিক সারিবিন্যাস ও মুখের গঠন ঠিক করার জন্য বিশেষ এক ধরনের ডেন্টাল চিকিৎসা। অনেকের দাঁত স্বাভাবিকভাবে বাঁকা, উঁচু-নিচু বা ছড়ানো হয়ে থাকে, যা শুধু মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে না, বরং চিবানো, কথা বলা ও মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করে। এই সমস্যাগুলো দূর করতে ব্রেস (Braces) ও অন্যান্য অ্যালাইনমেন্ট পদ্ধতি ব্যবহৃত হয়, যা দাঁতকে ধীরে ধীরে সঠিক অবস্থানে নিয়ে আসে।Dental Chamber Mirpur-10

অর্থোডন্টিক চিকিৎসা কী?

অর্থোডন্টিক চিকিৎসা দাঁতের অস্বাভাবিক অবস্থান, মুখের গঠন ও জবের (jaw) সমস্যা ঠিক করার প্রক্রিয়া। এটি সাধারণত ব্রেস, অ্যালাইনার ও রিটেইনার ব্যবহার করে ধীরে ধীরে দাঁতের গঠন ও অবস্থান সোজা করে।

কখন অর্থোডন্টিক চিকিৎসা প্রয়োজন হয়?
  • দাঁত খুব ঘন ও একটার ওপর আরেকটা উঠে গেলে
  • দাঁতের মাঝখানে বড় ফাঁকা থাকলে
  • উপরের দাঁত নিচের দাঁতের চেয়ে অনেক বেশি বেরিয়ে থাকলে (Overbite)
  • নিচের দাঁত উপরের দাঁত ছাড়িয়ে গেলে (Underbite)
  • চোয়াল বেঁকে থাকলে বা সঠিকভাবে মুখ বন্ধ না হলে
  • চিবাতে সমস্যা হলে বা কথা বলায় বাঁধা হলে

Dental Chamber Mirpur-10

ব্রেস কত প্রকার?
  1. মেটাল ব্রেস (Metal Braces):
    – সবচেয়ে প্রচলিত ও কার্যকর
    – দাঁতের ওপর মেটাল ব্র্যাকেট ও তার বসিয়ে ধীরে ধীরে দাঁত সোজা করা হয়
  2. সিরামিক ব্রেস (Ceramic Braces):
    – দাঁতের রঙের সাথে মিল থাকা ব্রেস
    – দেখতে অনেকটাই কম চোখে পড়ে
  3. লিঙ্গুয়াল ব্রেস (Lingual Braces):
    – দাঁতের পেছনে বসানো হয়, বাইরের দিক থেকে দেখা যায় না
    – খরচ বেশি ও কিছুটা অস্বস্তিকর
  4. ক্লিয়ার অ্যালাইনার (Clear Aligners – যেমন Invisalign):
    – স্বচ্ছ প্লাস্টিকের তৈরি, খুলে রাখা যায়
    – অত্যন্ত আরামদায়ক ও দেখতে প্রায় অদৃশ্য

Dental Chamber Mirpur-10

চিকিৎসার সময়কাল

অর্থোডন্টিক চিকিৎসার সময়কাল সাধারণত ১ থেকে ৩ বছর পর্যন্ত হতে পারে, যা রোগীর দাঁতের জটিলতার ওপর নির্ভর করে। চিকিৎসা শেষ হওয়ার পর রিটেইনার ব্যবহার করতে হয়, যাতে দাঁত আবার আগের অবস্থায় ফিরে না যায়।Dental Chamber Mirpur-10

অর্থোডন্টিক চিকিৎসার উপকারিতা
  • দাঁতের সৌন্দর্য ও সঠিক সারিবিন্যাস নিশ্চিত করে
  • চিবানোর ও কথা বলার সমস্যা দূর করে
  • দাঁতে চাপ কমায়, ক্ষয় প্রতিরোধ করে
  • মুখের গঠন ও চোয়ালের ভারসাম্য বজায় রাখে
  • আত্মবিশ্বাস বাড়ায় ও হাসিকে সুন্দর করে তোলে
চিকিৎসার সময় যা মেনে চলতে হয়
  • নিয়মিত ডেন্টিস্টের ফলোআপ
  • কঠিন ও আঠালো খাবার এড়িয়ে চলা
  • প্রতিদিন ভালোভাবে দাঁত পরিষ্কার করা
  • মুখে ব্রেস থাকলে মুখের অভ্যন্তরে যত্নে সাবধান থাকা

অর্থোডন্টিক চিকিৎসা শুধুমাত্র সৌন্দর্যের জন্য নয়, বরং দীর্ঘমেয়াদী মুখ ও দাঁতের স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সময়মতো ব্রেস বা অ্যালাইনার ব্যবহার করলে দাঁতের জটিলতা দূর হয়ে যায় এবং মুখের গঠন ও কার্যকারিতা উন্নত হয়। তাই যদি দাঁতের সারিবিন্যাসে সমস্যা থাকে, তবে দেরি না করে একজন অর্থোডন্টিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত। সুন্দর হাসির জন্য এটি একটি মূল্যবান বিনিয়োগ।

৮. ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট (Dental Implant):Dental Chamber Mirpur-10

ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট (Dental Implant): হারানো দাঁতের স্থায়ী ও প্রাকৃতিক সমাধান

ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট হলো একটি আধুনিক ও টেকসই দাঁতের প্রতিস্থাপন পদ্ধতি, যার মাধ্যমে একটি বা একাধিক হারানো দাঁতের পরিবর্তে কৃত্রিম দাঁত বসানো হয়। এটি দেখতে ও ব্যবহার করতে প্রাকৃতিক দাঁতের মতোই মনে হয় এবং দীর্ঘমেয়াদে মুখের স্বাভাবিক সৌন্দর্য ও কার্যকারিতা বজায় রাখতে সাহায্য করে। যারা ব্রিজ বা ডেন্টারের পরিবর্তে একটি স্থায়ী, মজবুত ও আরামদায়ক সমাধান খুঁজছেন, তাদের জন্য ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট একটি আদর্শ পছন্দ।Dental Chamber Mirpur-10

ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট কী?

ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট মূলত একটি ছোট টাইটানিয়াম স্ক্রু, যা চোয়ালের হাড়ে স্থাপন করা হয়। এটি একটি কৃত্রিম দাঁতের শিকড় হিসেবে কাজ করে। ইমপ্ল্যান্ট বসানোর পর সেটি হাড়ের সঙ্গে সংযুক্ত (osseointegration) হয়ে যায়, যার ওপর কৃত্রিম দাঁত, ক্রাউন বা ব্রিজ স্থাপন করা হয়।

ইমপ্ল্যান্ট কখন প্রয়োজন হয়?
  • দাঁত পড়ে গেলে বা তুলে ফেলতে হলে
  • দুর্ঘটনায় দাঁত ভেঙে গেলে
  • ডেন্টার বা ব্রিজের অস্বস্তি এড়াতে
  • চিবানোর বা কথা বলার সমস্যা হলে
  • মুখের গঠন ঠিক রাখতে
ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টের ধরণ
  1. Single Tooth Implant: একটি দাঁতের পরিবর্তে ব্যবহৃত হয়
  2. Multiple Tooth Implant: একাধিক দাঁতের ঘাটতি পূরণে ব্যবহৃত
  3. All-on-4/All-on-6 Implant: সম্পূর্ণ উপরের বা নিচের চোয়ালের দাঁত প্রতিস্থাপনে ব্যবহৃত উন্নত পদ্ধতি
  4. Implant-Supported Denture: ইমপ্ল্যান্টের ওপর বসানো ডেন্টার, যা অনেক বেশি স্থিতিশীল
ইমপ্ল্যান্ট বসানোর ধাপসমূহ
  1. প্রাথমিক মূল্যায়ন ও এক্স-রে
  2. লোকাল অ্যানেস্থেসিয়া প্রয়োগ
  3. ইমপ্ল্যান্ট স্ক্রু বসানো চোয়ালে
  4. হাড়ের সাথে সংযুক্ত হওয়ার জন্য সময় (৩–৬ মাস)
  5. ক্রাউন বা কৃত্রিম দাঁত বসানো
ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্টের উপকারিতা
  • প্রাকৃতিক দাঁতের মতো দেখতে ও অনুভব করা
  • দীর্ঘস্থায়ী (সঠিক যত্নে ১৫-২০ বছর বা তারও বেশি স্থায়ী)
  • চিবানো ও কথা বলার স্বাভাবিকতা বজায় রাখে
  • আশপাশের দাঁতের উপর কোনও প্রভাব ফেলে না
  • মুখের গঠন ও হাসির সৌন্দর্য রক্ষা করে
  • সাধারণ ডেন্টারের তুলনায় অনেক বেশি আরামদায়ক ও স্থির
ইমপ্ল্যান্টের পর যত্ন নেওয়া জরুরি
  • প্রতিদিন নিয়মিত ব্রাশ ও ফ্লস করা
  • অতিরিক্ত শক্ত খাবার এড়িয়ে চলা
  • ধূমপান না করা
  • প্রতি ৬ মাসে ডেন্টাল চেকআপ করা
  • চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ

ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট আধুনিক দন্ত চিকিৎসার এক যুগান্তকারী উন্নয়ন। এটি মুখগহ্বরের সৌন্দর্য, দাঁতের কার্যকারিতা এবং আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনে। যারা স্থায়ী সমাধান চান এবং প্রাকৃতিক দাঁতের মতো অনুভব করতে চান, তাদের জন্য ইমপ্ল্যান্ট হলো সবচেয়ে কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী বিকল্প। তবে অবশ্যই অভিজ্ঞ ডেন্টিস্টের তত্ত্বাবধানে এই চিকিৎসা করানো উচিত।Dental Chamber Mirpur-10

আমরা যেভাবে আলাদা:Dental Chamber Mirpur-10

অভিজ্ঞ ডেন্টিস্টদের দল

আমাদের চেম্বারে রয়েছেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যান্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (BMDC) অনুমোদিত অভিজ্ঞ চিকিৎসকগণ, যাঁরা প্রতিটি রোগীর জন্য ব্যক্তিগতভাবে সময় নিয়ে পরামর্শ দেন।

26ed2027 f586 42f0 b13a 10adf0038269

Dental Chamber Mirpur-10

সর্বাধুনিক যন্ত্রপাতি

আমরা ব্যবহার করি ডিজিটাল এক্স-রে, আল্ট্রাসোনিক স্কেলার, হাই-স্পিড ড্রিল, লাইট কিওর্ড ফিলিং মেশিন, এবং আরও অনেক উন্নত প্রযুক্তি।

পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যসম্মত চিকিৎসা

আমরা সবসময় পরিবেশ পরিচ্ছন্নতা ও রোগীর স্বাচ্ছন্দ্যকে অগ্রাধিকার দিই। প্রতিটি চিকিৎসার আগে ও পরে স্যানিটাইজেশন নিশ্চিত করা হয়।

কাদের জন্য উপযুক্ত?

ছাত্রছাত্রী – যারা দাঁতের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য বজায় রাখতে চায়
গৃহিণী – যাঁরা ব্যস্ত জীবনে দাঁতের যত্নে সময় দিতে পারেন না
চাকরিজীবী – সাশ্রয়ী সময়ে ব্যথাহীন ও ঝামেলাবিহীন চিকিৎসা
বয়স্ক নাগরিক – যাঁদের দাঁত পড়ে গেছে বা মাড়ির সমস্যা আছে
শিশুরা – যাদের দাঁত ওঠা/পরা, ক্ষয়, মাড়ির সমস্যা বা ফ্লুরোসিস রয়েছে

আমাদের জনপ্রিয় সার্ভিসসমূহ (Special Highlights):Dental Chamber Mirpur-10

সেবাবর্ণনাখরচ (আনুমানিক)
স্কেলিং ও পলিশিংসম্পূর্ণ মুখগহ্বর পরিষ্কার৳১৫০০-২০০০
কসমেটিক ফিলিংরঙ মিলিয়ে দাঁত ফিলিং৳২০০০-৩০০০
রুট ক্যানালব্যথাহীন RCT৳৪০০০-৫০০০
PFM/জিরকোনিয়া ক্যাপএকদম দাঁতের মতো৳৪০০০-৮০০০
দাঁত তোলাব্যথাহীন পদ্ধতি৳৫০০-১০০০
বাচ্চাদের চিকিৎসাবিশেষ যত্নে শিশুদের চিকিৎসা৳৫০০-১০০০

সময়সূচি ও যোগাযোগ

চেম্বার সময়:Dental Chamber
শনিবার – শুক্রবার: সকাল ৯টা – সন্ধ্যা ৬টা

ঠিকানা:(Dental Chamber)
মিরপুর ১০, গোলচত্বরের পাশে
(HRTD Medical Institute ভবনের নিচতলা)

ফোন নম্বর:
০১৭৯৭৫২২১৩৬
০১৯৮৭০৭৩৯৬৫
০১৭৮৪৫৭২১৭৩

আপনার দাঁতের যত্নে আমাদের পরামর্শ(Dental Chamber)

দিনে দুইবার ব্রাশ করুন (সকাল ও রাত)
চিনিযুক্ত খাবার এড়িয়ে চলুন
বছরে অন্তত ২ বার দাঁতের স্কেলিং করান
দাঁত ব্যথা, রক্তপাত বা দুর্গন্ধ হলে দ্রুত চিকিৎসা নিন
বাচ্চাদের দাঁতের জন্য অভ্যস্ত করুন নিয়মিত ব্রাশে

কেন এইচ আর টিডি (HRTD) তে চিকিৎসা নিবেন?(Dental Chamber)

Dental Chamber Mirpur-10

  • প্রমাণিত ট্রিটমেন্ট প্ল্যান
  • কম খরচে আধুনিক চিকিৎসা
  • অভিজ্ঞ নারী চিকিৎসকের মাধ্যমে সেবা
  • পুরুষ ও মহিলাদের জন্য পৃথক কনসালটেশন রুম
  • ১০০% হাইজিন গ্যারান্টি
  • আন্তরিক পরিবেশে ফলোআপ সেবা
IMG20250630122606

উপসংহার: আপনার হাসি, আমাদের দায়িত্ব Dental Chamber Mirpur-10

আজকের দিনে দাঁতের যত্ন নেওয়া আর বিলাসিতা নয় – এটি একটি অপরিহার্য স্বাস্থ্য সচেতনতা। HRTD Dental Services – Dental Chamber Mirpur-10 এ আপনি পাচ্ছেন সব ধরনের আধুনিক দাঁতের চিকিৎসা, তা সাশ্রয়ী খরচে ও পরিপূর্ণ যত্নে।Dental Chamber Mirpur-10

আপনার অথবা পরিবারের কারো দাঁতের কোনো সমস্যা থাকলে দেরি না করে আজই যোগাযোগ করুন আমাদের সঙ্গে। মনে রাখবেন, সময়মতো চিকিৎসাই ভবিষ্যতের ব্যয় ও যন্ত্রণা কমাতে পারে।

যোগাযোগ করুন এখনই:Dental Chamber Mirpur-10
এইচ আর টিডি ডেন্টাল সার্ভিসেস
মিরপুর-১০, ঢাকা
০১৭৯৭৫২২১৩৬ | ০১৯৮৭০৭৩৯৬৫ | ০১৭৮৪৫৭২১৭৩

আপনার সুন্দর হাসির সঙ্গী – HRTD Dental Services (Dental Chamber Mirpur-10)

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top