HRTD Medical Institute মিরপুর-১০ গোলচত্বরে অবস্থিত একটি সুপরিচিত ফিজিওথেরাপি সেন্টার এবং মেডিকেল প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। এটি আধুনিক ফিজিওথেরাপি সেবা ও প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে। ঠিকানা ও যোগাযোগ : সেকশন-৬, ব্লক-খ, রোড-১, প্লট-১১, মেট্রো রেল পিলার নম্বর ২৪৯, ফলপট্টি মসজিদ গলি, আব্দুল আলী মাদবর ম্যানশন, মিরপুর-১০ গোলচত্ত্বর, ঢাকা-১২১৬,ফোন: 01797-522136, 01987-073965 ,ওয়েবসাইট: hrtdms.com

ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা বলতে এমন চিকিৎসা পদ্ধতিগুলিকে বোঝানো হয় যা ব্যথা উপশম, অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার এবং চলাচল স্বাভাবিক করতে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক অনুশীলন, ম্যাসাজ, ইলেকট্রোথেরাপি ইত্যাদি ব্যবহারের মাধ্যমে পরিচালিত হয়। নিচে ফিজিওথেরাপির কিছু সাধারণ চিকিৎসা পদ্ধতি দেওয়া হলো:
ম্যানুয়াল থেরাপি (Manual Therapy):
ম্যানুয়াল থেরাপি (Manual Therapy) হলো ফিজিওথেরাপির একটি গুরুত্বপূর্ণ শাখা, যেখানে থেরাপিস্ট তার হাত ব্যবহার করে রোগীর পেশি, জয়েন্ট, টিস্যু ও স্নায়ুর উপর কাজ করে ব্যথা উপশম ও গতিশীলতা উন্নত করে।
ম্যানুয়াল থেরাপির উদ্দেশ্য
- ব্যথা কমানো
- জয়েন্টের গতিশীলতা বাড়ানো
- পেশির টান, শক্তভাব ও দুর্বলতা হ্রাস করা
- রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি
- হাড়, স্নায়ু ও পেশির স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনা
ব্যবহৃত কৌশলসমূহ
- মাসল রিলিজ/ম্যাসাজ (Soft Tissue Mobilization): পেশিতে জমে থাকা টান বা গাঁট খুলে দেওয়া হয়।
- জয়েন্ট মবিলাইজেশন: ধীরে ধীরে ও নিয়ন্ত্রিত গতিতে জয়েন্ট নাড়ানো হয় যাতে সঠিক গতিশীলতা ফিরে আসে।
- ম্যানিপুলেশন: অল্প সময়ের জন্য একটি দ্রুত ও নির্ভুল ধাক্কা (thrust) প্রয়োগ করা হয়।
- স্ট্রেইন-কাউন্টারস্ট্রেইন: পেশির ব্যথাযুক্ত অংশকে আরামদায়ক অবস্থানে রেখে স্নায়ুর চাপ কমানো হয়।
- নিউরাল মোবিলাইজেশন: স্নায়ুর স্বাভাবিক চলাচল নিশ্চিত করতে এটি প্রয়োগ করা হয়।
কোন সমস্যায় ব্যবহার হয়
- কোমর ও ঘাড়ের ব্যথা
- ফ্রোজেন শোল্ডার
- আর্থ্রাইটিস (Arthritis)
- স্নায়ুর টান (e.g., সায়াটিকা)
- কাঁধ, হাঁটু বা কোমরের স্টিফনেস
- স্ট্রোক পরবর্তী পুনর্বাসন
ম্যানুয়াল থেরাপি নিরাপদ এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে ওষুধের উপর নির্ভরতা কমিয়ে দিয়ে শরীরের প্রাকৃতিক নিরাময় প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করে। তবে এটি অভিজ্ঞ ও লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফিজিওথেরাপিস্ট দ্বারা করা জরুরি।
এক্সারসাইজ থেরাপি (Exercise Therapy):
এক্সারসাইজ থেরাপি (Exercise Therapy) হলো এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে নির্দিষ্ট শারীরিক ব্যায়াম ও আন্দোলনের মাধ্যমে ব্যথা উপশম, শক্তি বৃদ্ধি, নমনীয়তা পুনরুদ্ধার ও মোটর ফাংশন উন্নত করা হয়। এটি ফিজিওথেরাপির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং বহু ধরণের সমস্যার জন্য কার্যকর।
এক্সারসাইজ থেরাপির উদ্দেশ্য:
- ব্যথা হ্রাস করা
- পেশি ও জয়েন্ট শক্তিশালী করা
- শরীরের ভারসাম্য, সমন্বয় ও নিয়ন্ত্রণ উন্নত করা
- সার্জারির পর পুনর্বাসন ত্বরান্বিত করা
- দৈনন্দিন কাজ করার সক্ষমতা ফিরিয়ে আনা
এক্সারসাইজ থেরাপির প্রকারভেদ:
- রেঞ্জ অব মোশন (ROM) এক্সারসাইজ:
জয়েন্টের স্বাভাবিক চলাচল বজায় রাখতে সহায়তা করে। - স্ট্রেংথেনিং এক্সারসাইজ:
দুর্বল পেশিকে শক্তিশালী করে। প্রয়োজনে রেজিস্ট্যান্স ব্যান্ড বা ওজন ব্যবহৃত হয়। - স্ট্রেচিং এক্সারসাইজ:
শক্ত বা সংকুচিত পেশি ও টিস্যুকে প্রসারিত করে নমনীয়তা বৃদ্ধি করে। - ব্যালান্স ও কোঅর্ডিনেশন এক্সারসাইজ:
ভারসাম্য ও সমন্বয়ের উন্নতি ঘটায়, বিশেষ করে স্ট্রোক বা নার্ভ সমস্যার ক্ষেত্রে। - কার্ডিওভাসকুলার এক্সারসাইজ:
হার্ট ও ফুসফুসের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে (যেমন: স্টেশনারি বাইক চালানো, হাঁটা)।
কোন সমস্যায় ব্যবহৃত হয়:
- ব্যাক পেইন ও ঘাড়ের ব্যথা
- আর্থ্রাইটিস ও জয়েন্ট স্টিফনেস
- প্যারালাইসিস বা স্ট্রোক
- হাঁটু ও কাঁধের ইনজুরি
- পেশি দুর্বলতা
- সার্জারির পর শারীরিক পুনর্বাসন
ইলেকট্রোথেরাপি (Electrotherapy):
ইলেকট্রোথেরাপি (Electrotherapy) হলো এক ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি যেখানে বিদ্যুৎ তরঙ্গ বা ইলেকট্রিক কারেন্ট ব্যবহার করে ব্যথা কমানো, পেশি উদ্দীপিত করা, রক্তসঞ্চালন বাড়ানো এবং শরীরের নিরাময় প্রক্রিয়াকে ত্বরান্বিত করা হয়। এটি ফিজিওথেরাপিতে বহুল ব্যবহৃত হয়।
ইলেকট্রোথেরাপির মূল উদ্দেশ্য:
- ব্যথা উপশম
- স্নায়ু ও পেশিকে উদ্দীপিত করা
- রক্তসঞ্চালন বাড়ানো
- টিস্যু হিলিং বা নিরাময় বৃদ্ধি
- স্ফীত বা ইনফ্লেমড অংশের ফোলাভাব কমানো
ব্যবহৃত সাধারণ ইলেকট্রোথেরাপি পদ্ধতি:
- TENS (Transcutaneous Electrical Nerve Stimulation):
মৃদু ইলেকট্রিক সিগন্যাল দিয়ে ব্যথা উপশমে ব্যবহৃত হয় (যেমন: কোমর, ঘাড়, হাঁটু ব্যথা)। - IFT (Interferential Therapy):
গভীর টিস্যুতে প্রবেশ করে দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা উপশমে কার্যকর। পেশির ফোলাভাব কমাতেও ব্যবহৃত হয়। - Ultrasound Therapy:
সাউন্ড ওয়েভের মাধ্যমে টিস্যু নিরাময় ও ফোলাভাব হ্রাস করা হয়। - EMS (Electrical Muscle Stimulation):
দুর্বল পেশি শক্তিশালী করতে ব্যবহৃত হয়, বিশেষ করে স্ট্রোক, প্যারালাইসিস বা অস্ত্রোপচারের পর। - Laser Therapy (Low Level):
কোষের রিজেনারেশন ও ইনফ্লেমেশন কমাতে ব্যবহৃত হয়।
কোন সমস্যায় ব্যবহার হয়:
- আর্থ্রাইটিস (Arthritis)
- কোমর, ঘাড়, হাঁটু ও কাঁধের ব্যথা
- স্নায়ুজনিত সমস্যা (e.g. সায়াটিকা, বেলস পালসি)
পেশির দুর্বলতা বা ফোলা
হিট এবং কোল্ড থেরাপি:
হিট এবং কোল্ড থেরাপি (Heat and Cold Therapy) হলো ব্যথা উপশম ও নির্দিষ্ট ধরণের চোটের চিকিৎসায় ব্যবহৃত দুটি সাধারণ কিন্তু কার্যকর পদ্ধতি। নিচে এদের ব্যবহারের পদ্ধতি ও পার্থক্য তুলে ধরা হলো:
হিট থেরাপি (Heat Therapy)
ব্যবহার করা হয়:
- পেশির খিঁচুনি বা শক্ত হয়ে যাওয়া
- দীর্ঘমেয়াদি (ক্রনিক) ব্যথা যেমন: কোমর ব্যথা, গাঁটে ব্যথা
- রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে
কিভাবে কাজ করে:
- উত্তাপ রক্তনালী প্রসারিত করে
- আক্রান্ত স্থানে রক্ত চলাচল বাড়ায়
- ব্যথা ও শক্ত ভাব কমায়
প্রকারভেদ:
- আর্দ্র গরম: গরম তোয়ালে, গরম পানির বোতল
- শুকনো গরম: হিটিং প্যাড, ইনফ্রারেড ল্যাম্প
ব্যবহার করবেন না যদি:
- নতুন চোট বা ফোলা থাকে
- সংক্রমণ থাকে
কোল্ড থেরাপি (Cold Therapy)
ব্যবহার করা হয়:
- নতুন আঘাত (প্রথম ২৪-৪৮ ঘণ্টা)
- ফোলা বা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে
- হাড়ের বা গাঁটের চোটে
কিভাবে কাজ করে:
- ঠাণ্ডা রক্তনালী সংকুচিত করে
- রক্ত প্রবাহ কমায়
- ফোলা ও ব্যথা হ্রাস করে
প্রকারভেদ:
- বরফ প্যাক: আইস ব্যাগ বা বরফ মোড়ানো কাপড়
- কোল্ড স্প্রে বা জেল: খেলোয়াড়রা দ্রুত ব্যথা কমাতে ব্যবহার করে
ব্যবহার করবেন না যদি:
- রক্ত চলাচল খারাপ থাকে
- ঠাণ্ডা লাগলে ব্যথা বাড়ে
Hydrotherapy (জল থেরাপি):
Hydrotherapy (জল থেরাপি) হলো পানি ব্যবহার করে শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন এবং ব্যথা উপশম করার একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি প্রাচীনকাল থেকেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে এবং আধুনিক ফিজিওথেরাপি ও রিহ্যাবিলিটেশনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
Hydrotherapy এর মূল ধারণা:
পানির তাপমাত্রা (ঠাণ্ডা বা গরম), চাপ ও গতি ব্যবহার করে রক্ত সঞ্চালন, পেশি আরাম, ফোলাভাব হ্রাস এবং ব্যথা উপশম করা হয়।
Hydrotherapy-এর ধরন:
- Hot Water Therapy (গরম পানি):
- পেশি শিথিল করে
- রক্ত চলাচল বৃদ্ধি করে
- দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা ও গাঁটের ব্যথায় কার্যকর
- Cold Water Therapy (ঠাণ্ডা পানি):
- ফোলা ও প্রদাহ কমায়
- নতুন আঘাতে আরাম দেয়
- Contrast Bath Therapy (বিকল্প গরম-ঠাণ্ডা):
- গরম ও ঠাণ্ডা পানির বিকল্প প্রয়োগ
- রক্ত সঞ্চালন ও প্রদাহ কমাতে উপকারী
- Whirlpool Therapy (জেট পানির প্রবাহ):
- পুল বা টবে পানির প্রবাহে শরীর ডুবিয়ে রাখা
- পেশির খিঁচুনি ও ব্যথা কমায়
- Underwater Exercise (জলের নিচে ব্যায়াম):
- পানি শরীরকে হালকা করে তোলে
- হাঁটা বা নড়াচড়ায় চাপ কমায়
- আর্থ্রাইটিস, স্ট্রোক, প্যারালাইসিস ইত্যাদির রিহ্যাবে কার্যকর
Hydrotherapy-এর উপকারিতা:
- ব্যথা ও পেশি খিঁচুনি কমায়
- মানসিক চাপ হ্রাস করে
- ফোলাভাব ও প্রদাহ হ্রাস করে
- চলাচল উন্নত করে
- আর্থ্রাইটিস, ব্যাক পেইন, স্পাইনাল ইনজুরি, সার্জারির পর রিকভারিতে সাহায্য করে
যেসব ক্ষেত্রে সতর্কতা দরকার:
- খোলা ক্ষত থাকলে
- হৃৎপিণ্ডের সমস্যা বা উচ্চ রক্তচাপ থাকলে
- সংক্রমণ থাকলে
- গর্ভাবস্থায় (বিশেষ অবস্থায়)
Postural Training (সঠিক ভঙ্গিমা শিক্ষা):
Respiratory Physiotherapy (শ্বাসতন্ত্রের থেরাপি):
Respiratory Physiotherapy (শ্বাসতন্ত্রের থেরাপি) হল এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের কার্যক্ষমতা উন্নত করার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটি সাধারণত এমন রোগীদের জন্য ব্যবহৃত হয় যাদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয় বা যাদের শ্বাসনালীতে কফ জমে যায়।
Respiratory Physiotherapy-এর উদ্দেশ্য:

- ফুসফুস পরিষ্কার রাখা (কফ দূর করা)
- শ্বাস গ্রহণ এবং নির্গমনের ক্ষমতা বাড়ানো
- ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নত করা
- শ্বাসকষ্ট কমানো
- সংক্রমণ প্রতিরোধে সহায়তা করা
ব্যবহৃত কৌশলসমূহ:
- Chest Physiotherapy (বুকের থেরাপি):
- Percussion (টোকা মারা)
- Vibration (কম্পন দেওয়া)
- Postural Drainage (বিশেষ ভঙ্গিতে শোয়ানো যাতে কফ বের হতে পারে)
- Percussion (টোকা মারা)
- Breathing Exercises (শ্বাস নেওয়ার ব্যায়াম):
- Diaphragmatic Breathing (পেট দিয়ে শ্বাস নেওয়া)
- Pursed-lip Breathing (ঠোঁট চেপে শ্বাস ছাড়ার কৌশল)
- Incentive Spirometry (বিশেষ যন্ত্রের মাধ্যমে শ্বাস প্রশিক্ষণ)
- Diaphragmatic Breathing (পেট দিয়ে শ্বাস নেওয়া)
- Airway Clearance Techniques (শ্বাসনালী পরিষ্কারের কৌশল):
- Active Cycle of Breathing Techniques (ACBT)
- Autogenic Drainage
- Coughing and Huffing Techniques
- Active Cycle of Breathing Techniques (ACBT)
- Mechanical Devices (যন্ত্রের সাহায্যে):
- Flutter device
- Positive Expiratory Pressure (PEP) device
- High-frequency chest wall oscillation (HFCWO)
- Flutter device
কাদের জন্য এই থেরাপি উপযোগী?
- COPD (ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ) রোগী
- অ্যাজমা
- নিউমোনিয়া
- ব্রঙ্কিয়েক্টাসিস
- সিস্টিক ফাইব্রোসিস
- সার্জারির পর ফুসফুসে কফ জমলে
Neurological Rehabilitation:
Neurological Rehabilitation (স্নায়ুবিক পুনর্বাসন)
স্নায়ুতন্ত্রের রোগ বা আঘাতের পর, মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড ও স্নায়ু সঠিকভাবে কাজ না করলে Neurological Rehabilitation একটি গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা পদ্ধতি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে রোগীকে দৈনন্দিন কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনার জন্য শরীরের গতি, অনুভূতি, কথা বলা, স্মৃতি এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন ঘটানো হয়।

উদ্দেশ্য:
- স্নায়ুবিক ক্ষতির পরে দৈনন্দিন জীবনে স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনা
- চলাফেরা, ভারসাম্য, কথাবার্তা এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করা
- রোগীর আত্মবিশ্বাস ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নয়ন
- পুনরায় কর্মক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করা
থেরাপির ধরন:
- Physiotherapy (ফিজিওথেরাপি):
- প্যারালাইসিস, দুর্বলতা বা অস্বাভাবিক মুভমেন্টের ক্ষেত্রে কাজে লাগে
- Walking training, balance therapy, strengthening exercises
- Occupational Therapy (কর্মক্ষমতা বৃদ্ধির থেরাপি):
- দৈনন্দিন কাজ যেমন জামা পরা, খাওয়া, লেখালেখি শেখানো
- হাতের সমন্বয় ও ফাইন মোটর স্কিল উন্নয়ন
- Speech and Language Therapy:
- কথা বলায় সমস্যা, গিলে খেতে অসুবিধা বা ভাষাজনিত সমস্যা ঠিক করতে
- Aphasia, dysarthria, swallowing therapy
- Neuropsychology & Cognitive Rehabilitation:
- স্মৃতি, মনোযোগ, চিন্তাশক্তি উন্নয়ন
- ডিপ্রেশন, এ্যাংজাইটি, আচরণগত সমস্যা ব্যবস্থাপনা
- Assistive Technology & Devices:
- হুইলচেয়ার, ওয়াকিং এইড, স্প্লিন্ট, কমিউনিকেশন ডিভাইস ব্যবহার
যেসব রোগে প্রয়োগ হয়:
- স্ট্রোক (Stroke)
- মস্তিষ্কে আঘাত (Traumatic Brain Injury – TBI)
- প্যারালাইসিস
- পারকিনসন ডিজিজ
- মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস (MS)
- সেরেব্রাল পালসি (CP)
- স্পাইনাল কর্ড ইনজুরি
- নিউরোডিজেনারেটিভ ডিজঅর্ডার
চিকিৎসার সময়কাল:
- এক সপ্তাহ থেকে শুরু করে মাস বা বছরের বেশি সময় লেগে যেতে পারে
- ব্যক্তির রোগ ও উন্নতির গতির উপর নির্ভর করে
Orthopedic Physiotherapy:
Orthopedic Physiotherapy (অস্থিসংক্রান্ত ফিজিওথেরাপি)
Orthopedic Physiotherapy হ’ল এমন একটি থেরাপি শাখা, যা হাড়, সন্ধি (joints), মাংসপেশি, লিগামেন্ট, টেন্ডন, এবং হাড়ের সংযোগকারী নরম টিস্যুর ব্যথা, আঘাত বা সার্জারির পর পুনর্বাসনে সহায়তা করে।

উদ্দেশ্য:
- ব্যথা ও ফোলাভাব কমানো
- পেশি ও সন্ধির কার্যক্ষমতা এবং নমনীয়তা (flexibility) বাড়ানো
- চলাফেরায় স্বাচ্ছন্দ্য আনা
- অপারেশনের পর দ্রুত পুনরুদ্ধার
- দৈনন্দিন কাজের ক্ষমতা ফিরিয়ে আনা
ব্যবহৃত থেরাপি ও কৌশল:
- Manual Therapy (হাতের মাধ্যমে চিকিৎসা):
- Mobilization & Manipulation (জয়েন্ট নাড়ানো বা চেপে খোলা)
- Soft Tissue Massage (মাংসপেশি ম্যাসাজ)
- Therapeutic Exercise (চিকিৎসামূলক ব্যায়াম):
- Stretching (পেশি প্রসারণ)
- Strengthening (শক্তি বৃদ্ধি)
- Balance & Proprioception training (ভরকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ)
- Electrotherapy (যন্ত্রের মাধ্যমে):
- TENS (ব্যথা নিয়ন্ত্রণে)
- Ultrasound Therapy (তরঙ্গ দিয়ে গভীর টিস্যু আরোগ্য)
- IFT, EMS ইত্যাদি
- Post-Operative Rehabilitation:
- Joint Replacement (হাঁটু বা হিপ প্রতিস্থাপনের পর থেরাপি)
- Fracture Healing (ভাঙা হাড় জোড়ার পরে নড়াচড়া ফিরিয়ে আনা)
- Postural Correction (ভুল ভঙ্গি সংশোধন):
- কাজ বা ঘুমের সময় ভুল অঙ্গবিন্যাস সংশোধন
যে সমস্যাগুলোর জন্য প্রযোজ্য:
- হাড় ভাঙ্গা বা ফ্র্যাকচার
- ব্যাক পেইন বা কোমর ব্যথা
- ঘাড় ব্যথা (Cervical spondylosis)
- হাঁটু ও কাঁধের ব্যথা (Arthritis, Frozen Shoulder)
- Ligament Injuries (যেমন ACL tear)
- Sports Injuries
- Sciatica
- Joint Replacement Surgery-র পর
থেরাপির সময়কাল:
- আঘাত বা সার্জারির ধরণ ও রোগীর অবস্থার ওপর নির্ভর করে
- সাধারণত ২ সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাস পর্যন্ত হতে পারে
Pediatric Physiotherapy:
Pediatric Physiotherapy (শিশুদের ফিজিওথেরাপি)
Pediatric Physiotherapy এমন একটি চিকিৎসা পদ্ধতি যা শিশুদের শারীরিক বিকাশ, গঠনগত বা স্নায়বিক সমস্যা, এবং চলাচল সংক্রান্ত জটিলতা উন্নত করতে সহায়তা করে। এটি জন্মগত বা অর্জিত সমস্যার কারণে সৃষ্ট সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ওঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

উদ্দেশ্য:
- শিশুর মোটর স্কিল (মোটর স্কিল: হাঁটা, বসা, দৌড়ানো ইত্যাদি) উন্নয়ন
- পেশি শক্তি, ভারসাম্য ও সমন্বয় বৃদ্ধিতে সহায়তা
- অস্বাভাবিক চলাফেরা ও অঙ্গবিন্যাস সংশোধন
- স্বাধীনভাবে চলাচল এবং দৈনন্দিন কাজে অংশগ্রহণে সহায়তা
- জন্মগত বা স্নায়বিক সমস্যার দীর্ঘমেয়াদি ব্যবস্থাপনা
কোন শিশুদের জন্য প্রযোজ্য:
- Cerebral Palsy (CP)
- Developmental Delay (বয়স অনুযায়ী শারীরিক দক্ষতার অভাব)
- Spina Bifida
- Down Syndrome
- Duchenne Muscular Dystrophy
- Torticollis (ঘাড় বাঁকা থাকা)
- Clubfoot
- Autism Spectrum Disorder (চলাফেরা ও সংবেদনশীলতায় সমস্যা)
- Premature babies (জন্মের পরে দুর্বল পেশি ও অঙ্গের বিকাশ বিলম্বিত)
ব্যবহৃত কৌশল ও থেরাপি:
- Motor Skill Training:
- বসা, হামাগুড়ি, দাঁড়ানো, হাঁটা শেখানো
- Coordination ও Balance উন্নয়ন
- Stretching ও Strengthening Exercises:
- কঠিন বা ছোট হয়ে যাওয়া পেশি প্রসারণ
- দুর্বল পেশি শক্তিশালী করা
- Neurodevelopmental Therapy (NDT):
- স্নায়বিক সমস্যায় শিশুদের ভঙ্গিমা ও মুভমেন্ট উন্নয়ন
- Sensory Integration Therapy:
- স্পর্শ, শব্দ, আলো বা ভারসাম্যের সংবেদন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
- Play-based Therapy:
- খেলাধুলার মাধ্যমে শরীরচর্চা করানো — শিশুরা মজা করে শিখে
- Gait Training & Orthotics Use:
- হাঁটার প্রশিক্ষণ
- বিশেষ জুতা বা ব্রেস ব্যবহারের প্রশিক্ষণ
থেরাপি কোথায় হয়:
- হাসপাতাল, পুনর্বাসন কেন্দ্র, স্পেশাল স্কুল, কিংবা বাসায়
- একটি দলগত পরিবেশেও হতে পারে (multi-disciplinary team), যেখানে Speech Therapist, Occupational Therapist ও Pediatrician থাকেন
থেরাপির সময়কাল:
- শিশুর সমস্যার ধরন ও বিকাশের অগ্রগতির উপর নির্ভর করে
- অনেক ক্ষেত্রে এটি দীর্ঘমেয়াদি থেরাপি হতে পারে