দাঁতের পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা

দাঁতের পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা (Dental Care and Preventive Treatment) এমন একটি ক্ষেত্র যা মুখগহ্বর ও দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে এবং ভবিষ্যতের জটিলতা এড়াতে সহায়ক। নিচে দাঁতের পরিচর্যা এবং প্রতিরোধমূলক চিকিৎসার কিছু মূল দিক তুলে ধরা হলো

HRTD Dental Services 3

Table of Contents

দাঁতের পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা:

নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা:

নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করা দাঁতের সুস্থতা বজায় রাখার জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও সহজ অভ্যাসগুলোর একটি। এটি দাঁতের উপর জমে থাকা প্লাক (plaque) ও জীবাণু দূর করে, মুখের দুর্গন্ধ প্রতিরোধ করে এবং ক্যাভিটি ও গাম ডিজিজ (মাড়ির রোগ) থেকে রক্ষা করে।

প্রতিদিন ২ বার ব্রাশ করুন – সকালে নাস্তার পরে ও রাতে ঘুমানোর আগে।

ফ্লুরাইডযুক্ত টুথপেস্ট ব্যবহার করুন – এটি দাঁতের এনামেল শক্ত করে ও ক্ষয় প্রতিরোধ করে।

নরম ব্রিসেল যুক্ত ব্রাশ ব্যবহার করুন – কঠিন ব্রাশ মাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

প্রতি ৩ মাস পরপর ব্রাশ পরিবর্তন করুন – বা ব্রাশের ব্রিসেল নরম হয়ে গেলে।

সঠিক কৌশলে ব্রাশ করুন – ৪৫ ডিগ্রি কোণে মাড়ির সঙ্গে ব্রাশ রাখুন এবং ছোট ছোট ঘূর্ণায়মান গতিতে পরিষ্কার করুন।

জিহ্বাও ব্রাশ করুন – মুখের দুর্গন্ধ ও ব্যাকটেরিয়া দূর করতে।

ফ্লস করা – দাঁতের ফাঁকের যত্ন

ফ্লস করা (Flossing) হলো দাঁতের পরিচর্যার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ যা দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাবারের কণা, প্লাক এবং জীবাণু দূর করতে সাহায্য করে — যেগুলো সাধারণ ব্রাশ দিয়ে পরিষ্কার করা সম্ভব হয় না।

ফ্লস করার উপকারিতা:
  1. ক্যাভিটি প্রতিরোধে সহায়ক – দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা ক্যাভিটির কারণ হতে পারে।
  2. মাড়ির রোগ (gingivitis) প্রতিরোধ করে – ফ্লস মাড়ির লাইন বরাবর জমা প্লাক দূর করে।
  3. মুখের দুর্গন্ধ কমায় – ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণার পচন থেকে দুর্গন্ধ হয়।
  4. মুখের পরিচ্ছন্নতা সম্পূর্ণ করে – ব্রাশ + ফ্লস = পরিপূর্ণ মৌখিক যত্ন।
কীভাবে সঠিকভাবে ফ্লস করবেন:
  1. প্রায় ১৮ ইঞ্চি (৪৫ সেমি) লম্বা ফ্লস নিন এবং দুই হাতে জড়িয়ে ধরুন।
  2. প্রতিটি দাঁতের ফাঁকে আলতো করে ফ্লস ঢোকান এবং “C” আকৃতিতে দাঁতের চারপাশে ফ্লস ঘোরান।
  3. মাড়ি পর্যন্ত পৌঁছে হালকা চাপ দিন, তারপর নিচের দিকে নামিয়ে আনুন।
  4. প্রতিটি দাঁতের ফাঁকে আলাদা অংশ ব্যবহার করুন, যাতে জীবাণু ছড়ায় না।

মাউথওয়াশ ব্যবহার – মুখগহ্বরের অতিরিক্ত সুরক্ষা

মাউথওয়াশ হলো এক ধরনের তরল অ্যান্টিসেপটিক দ্রবণ যা দাঁত ব্রাশ ও ফ্লস করার পর মুখের জীবাণু ও দুর্গন্ধ দূর করতে ব্যবহার করা হয়। এটি মুখের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক একটি অতিরিক্ত পরিচর্যা পদ্ধতি।

মাউথওয়াশ ব্যবহারের উপকারিতা:
  1. মুখের দুর্গন্ধ (bad breath) দূর করে
  2. ব্যাকটেরিয়া ও জীবাণু ধ্বংস করে
  3. দাঁতের এনামেলকে শক্তিশালী করে (যদি ফ্লুরাইডযুক্ত হয়)
  4. মাড়ির রোগ প্রতিরোধে সহায়ক
  5. মুখে সতেজতা ও পরিষ্কার অনুভূতি দেয়
সঠিকভাবে মাউথওয়াশ ব্যবহারের নিয়ম:
  1. ব্রাশ ও ফ্লস করার পর ব্যবহার করা সবচেয়ে উপযুক্ত।
  2. ২০–৩০ মিলি (১ কাপের কম) মাউথওয়াশ মুখে নিন (বোতলের নির্দেশ অনুযায়ী)।
  3. ২০–৩০ সেকেন্ড মুখের ভেতরে গার্গল করে ঘুরিয়ে নিন।
  4. গলাধঃকরণ করবেন না — শুধু কুলি করে ফেলে দিন।
  5. ব্যবহারের পর ৩০ মিনিটের মধ্যে কিছু খাবেন বা পানি পান করবেন না, বিশেষ করে ফ্লুরাইডযুক্ত হলে।

প্রতি ৬ মাসে একজন ডেন্টিস্টের চেকআপ:

প্রতি ৬ মাসে একজন ডেন্টিস্টের চেকআপ করা দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস। অনেক সময় দাঁতের সমস্যা শুরুতে বোঝা না গেলেও ধীরে ধীরে বড় আকার ধারণ করতে পারে। নিয়মিত চেকআপ করলে ছোট সমস্যা আগেই ধরা পড়ে এবং সহজে চিকিৎসা করা যায়।

ডেন্টিস্ট চেকআপে দাঁতের অবস্থা, মাড়ির স্বাস্থ্য, প্লাক ও টার্টার জমেছে কিনা, দাঁতের ক্ষয় বা ক্যাভিটি আছে কিনা—এসব বিষয় খতিয়ে দেখা হয়। প্রয়োজন হলে দাঁত পরিষ্কারও করা হয়, যা দাঁত ও মাড়িকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

এছাড়া, ডেন্টিস্ট আপনার মুখগহ্বরে অন্য কোনো অসুবিধা বা রোগের প্রাথমিক লক্ষণ আছে কিনা তা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। মুখের স্বাস্থ্য শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্যের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত, তাই মুখের সমস্যা অবহেলা করা উচিত নয়।

সুতরাং, প্রতি ছয় মাস অন্তর ডেন্টিস্টের চেকআপ শুধু দাঁতের জন্য নয়, বরং সামগ্রিক স্বাস্থ্য রক্ষার জন্যও অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। নিয়মিত চেকআপ আপনাকে ব্যথা, জটিলতা ও অতিরিক্ত খরচ থেকে মুক্ত রাখতে পারে।

আপনি কি নিয়মিত ডেন্টিস্টের চেকআপ করিয়ে থাকেন?

স্কেলিং ও পলিশিং:

স্কেলিং ও পলিশিং দাঁতের যত্নের দুটি গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি যা ডেন্টিস্ট চেকআপের সময় সাধারণত করা হয়ে থাকে।

স্কেলিং হল একটি প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দাঁতের উপর এবং মাড়ির নিচে জমে থাকা প্লাক (plaque) ও টার্টার (tartar) পরিষ্কার করা হয়। এগুলো জমে থাকলে মাড়ির রোগ, দাঁতের ক্ষয় এবং মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হতে পারে। স্কেলিং করলে এই জমাট ময়লা দূর হয়ে দাঁত এবং মাড়ি আরও স্বাস্থ্যকর থাকে।

পলিশিং হল দাঁতের পৃষ্ঠ মসৃণ ও চকচকে করার একটি প্রক্রিয়া। এটি স্কেলিংয়ের পর করা হয় যেন দাঁতের উপর ব্যাকটেরিয়া সহজে জমতে না পারে। পলিশিং দাঁতের দাগ দূর করে এবং মুখে এক ধরনের সতেজতা এনে দেয়।

এই দুইটি পদ্ধতি দাঁতের সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক। অনেকেই মনে করেন স্কেলিংয়ে দাঁত ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কিন্তু অভিজ্ঞ ডেন্টিস্টের মাধ্যমে নিয়মিত স্কেলিং ও পলিশিং করলে বরং দাঁত ভালো থাকে এবং দীর্ঘমেয়াদে বড় সমস্যার সম্ভাবনা কমে যায়।

আপনি কি কখনো স্কেলিং ও পলিশিং করিয়েছেন?

দাঁতের পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা

ফ্লোরাইড থেরাপি:

ফ্লোরাইড থেরাপি হল দাঁতের সুস্বাস্থ্য রক্ষার জন্য একটি কার্যকর পদ্ধতি, যেখানে দাঁতকে ফ্লোরাইডের সাহায্যে আরও শক্তিশালী করা হয়। ফ্লোরাইড হলো একটি প্রাকৃতিক খনিজ যা দাঁতের এনামেলের (বহির্ভাগ) ক্ষয় প্রতিরোধে এবং ক্ষয় হওয়া দাঁত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

ফ্লোরাইড থেরাপির কার্যকারিতা
  1. দাঁতের ক্ষয় রোধ: ফ্লোরাইড দাঁতের এনামেলের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং ক্ষয়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলে।
  2. ক্যাভিটির ঝুঁকি কমানো: দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটির আশঙ্কা কমাতে সহায়ক।
  3. ক্ষতিগ্রস্ত এনামেল পুনর্গঠন: ক্ষতিগ্রস্ত এনামেল মেরামত করতে সাহায্য করে।
  4. ব্যাকটেরিয়া প্রতিরোধ: মুখের ব্যাকটেরিয়ার কার্যকলাপ কমিয়ে ক্যাভিটি গঠনে বাধা দেয়।
প্রক্রিয়া

ডেন্টিস্ট ফ্লোরাইড থেরাপি সাধারণত জেল, ফোম, বার্নিশ বা ট্রে-ভিত্তিক একটি বিশেষ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রয়োগ করেন। এটি দাঁতের পৃষ্ঠে প্রয়োগ করা হয় এবং কিছু সময় সেটি দাঁতে রেখে দেওয়া হয় যাতে ফ্লোরাইড শোষিত হয়।

কাদের জন্য প্রযোজ্য?

ফ্লোরাইড থেরাপি বিশেষত শিশুদের জন্য কার্যকর, কারণ তাদের দাঁত বিকাশমান অবস্থায় থাকে। তবে ক্যাভিটির ঝুঁকিতে থাকা প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও এটি উপকারী।

নিয়মিত ফ্লোরাইড থেরাপি গ্রহণ করলে দাঁতের সুস্বাস্থ্য বজায় থাকে এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসার প্রয়োজন কমে যায়।

ডায়েট নিয়ন্ত্রণ:

ডায়েট নিয়ন্ত্রণ দাঁতের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। আমরা যা খাই, তা সরাসরি আমাদের দাঁতের অবস্থা ও মুখের স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। সঠিক খাদ্যাভ্যাস শুধু দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধই করে না, বরং মাড়ির রোগ, মুখের দুর্গন্ধ এবং অন্যান্য মৌখিক সমস্যাও কমিয়ে আনে।

ডায়েট কেমন হওয়া উচিত?
  1. চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা: অতিরিক্ত চিনি দাঁতের উপর ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি করে, যা ক্যাভিটির প্রধান কারণ।
  2. ফল ও সবজি: ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার যেমন আপেল, গাজর, শশা ইত্যাদি দাঁতের প্রাকৃতিক পরিষ্কারক হিসেবে কাজ করে এবং লালা উৎপাদন বাড়ায়, যা ব্যাকটেরিয়া কমাতে সাহায্য করে।
  3. দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার: ক্যালসিয়াম ও ফসফেট সমৃদ্ধ এসব খাবার দাঁত ও হাড় শক্তিশালী করে।
  4. পানীয়: প্রচুর পানি পান দাঁতের ফাঁকে থাকা খাদ্যকণা দূর করতে সহায়তা করে এবং মুখে হাইড্রেশন বজায় রাখে।
বাঁচা উচিত যেসব অভ্যাস থেকে:
  • অতিরিক্ত কোমল পানীয় (soft drinks) পান
  • নিয়মিত চুইংগাম বা ক্যান্ডি খাওয়া
  • খাবার খেয়েই দাঁত না ব্রাশ করা

সঠিক ডায়েট শুধুমাত্র দাঁতের সমস্যা প্রতিরোধে নয়, বরং সার্বিক স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও ভূমিকা রাখে। আপনি কি আপনার ডায়েটে দাঁতের স্বাস্থ্য মাথায় রেখে পরিকল্পনা করেন?

HRTD Dental Services 2 1

সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য এড়িয়ে চলা:

সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য এড়িয়ে চলা দাঁত ও মুখগহ্বরের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত জরুরি। তামাক ব্যবহারের ফলে দাঁতের উপর দাগ পড়ে, মাড়ি দুর্বল হয়ে যায় এবং মুখে নানা ধরনের মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে।

তামাকজাত পণ্যের ক্ষতিকর প্রভাব:

  1. দাঁতের দাগ ও দুর্গন্ধ: সিগারেট ও জর্দা জাতীয় পণ্য দাঁতের উপর হলুদ-বাদামী দাগ ফেলে এবং মুখে দীর্ঘস্থায়ী দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে।
  2. মাড়ির রোগ: তামাক রক্ত সঞ্চালনে বাধা দেয়, যার ফলে মাড়ি ফুলে যায়, রক্ত পড়ে এবং দাঁত আলগা হয়ে যেতে পারে।
  3. ক্যাভিটি ও দাঁতের ক্ষয়: তামাক মুখের স্বাভাবিক লালা উৎপাদন কমিয়ে দেয়, যা দাঁতের ক্ষয় বাড়িয়ে দেয়।
  4. মুখগহ্বরের ক্যান্সার: দীর্ঘমেয়াদি তামাক ব্যবহার মুখের ক্যান্সারের ঝুঁকি বহুগুণ বাড়িয়ে দেয়।
কেন এড়িয়ে চলা উচিত:

তামাকজাত পণ্য শুধু দাঁতের নয়, বরং পুরো শরীরের জন্যই ক্ষতিকর। যারা তামাক ব্যবহার বন্ধ করে, তারা ধীরে ধীরে মুখের স্বাস্থ্য পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয় এবং জটিল রোগের ঝুঁকি অনেকটাই কমিয়ে আনে।

সুস্থ দাঁত ও পরিষ্কার হাসির জন্য আজ থেকেই সিগারেট ও তামাকজাত পণ্য পরিহার করা উচিত। আপনি কি এই ক্ষতিকর অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে চেষ্টা করছেন?

সিল্যান্ট প্রয়োগ (বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে):

সিল্যান্ট প্রয়োগ দাঁতের ক্ষয় প্রতিরোধে একটি কার্যকরী এবং নিরাপদ উপায়, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে এটি খুবই উপকারী। সিল্যান্ট হলো এক ধরনের প্লাস্টিক আবরণ যা দাঁতের চিবানোর অংশে, বিশেষ করে পিছনের দাঁতের (মোলার) খাঁজ ও ফাঁকে প্রয়োগ করা হয়।

কেন সিল্যান্ট দরকার?

শিশুদের দাঁত সাধারণত আরও গভীর ও খাঁজযুক্ত হয়, যেখানে খাবারের কণা ও ব্যাকটেরিয়া জমে গিয়ে দাঁতের ক্ষয় শুরু করতে পারে। নিয়মিত ব্রাশ করলেও এসব জায়গা পরিষ্কার করা কঠিন হয়। সিল্যান্ট এই খাঁজগুলোকে ঢেকে দিয়ে দাঁতের উপর একটি রক্ষা স্তর তৈরি করে, যা ব্যাকটেরিয়া ও অ্যাসিড থেকে দাঁতকে নিরাপদ রাখে।

দাঁতের পরিচর্যা ও প্রতিরোধমূলক চিকিৎসা

সিল্যান্টের সুবিধা:
  • দাঁতের ক্ষয় ৮০% পর্যন্ত কমিয়ে দেয়
  • ব্যথাহীন ও দ্রুত প্রক্রিয়া
  • ৫–১০ বছর পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে
  • খরচ তুলনামূলকভাবে কম
কাদের জন্য উপযুক্ত?

সাধারণত ৬–১২ বছর বয়সী শিশুদের প্রথম ও দ্বিতীয় মোলার গজানোর পরপরই সিল্যান্ট প্রয়োগ করার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় থাকা প্রাপ্তবয়স্করাও এটি নিতে পারেন।

সিল্যান্ট হলো একটি প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ, যা ভবিষ্যতের ব্যয়বহুল চিকিৎসা এড়াতে সাহায্য করে। আপনি কি কখনও সিল্যান্ট নিয়ে ডেন্টিস্টের সঙ্গে আলোচনা করেছেন?

Address: সেকশন ৬, ব্লক- খ, রোড-১, প্লট- ১১, মেট্রোরেল -পিলার-২৪৯, আব্দুল আলী মাতবর ম্যানশন, ফলপট্টি মসজিদ গলি, মিরপুর-১০, গোলচত্বর, ঢাকা-১২১৬

Email: hrtdadmission04@gmail.com

মোবাইল: ০১৭৯৭৫২২১৩৬, ০১৯৮৭০৭৩৯৬৫, ০১৭৮৪৫৭২১৭৩

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top