দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র মিরপুর-১০, ঢাকা

Table of Contents

দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-এইচআরটিডি ডেন্টাল সার্ভিসেস (HRTD Dental Services)

দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র । মোবাইল ফোন নাম্বার 01987073965. এখানে দাঁতের সকল ধরনের চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয় । এখানে স্কেলিং, পলিশিং, দাঁত সাদা করা, ফিলিং, রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট, ডেঞ্চার, ফ্লেক্সিবল ডেঞ্চার, পারসিয়াল ডেঞ্চার, কমপ্লিট ডেঞ্চার, ব্রিজ, ক্যাপ ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়। আমাদের ঠিকানা- আব্দুল আলী মাদবর ম্যানশন, ফলপট্টি মসজিদ গলি, প্লট নাম্বার 11, মিরপুর 10 গোলচত্ত্বর, ঢাকা 1216.

472915342 122179779272057831 5782717008179406705 n

.

এইচআরটিডি ডেন্টাল সার্ভিসেস মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্ত্বর এলাকায় অবস্থিত একটি সুপরিচিত দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র। এখানে স্কেলিং, পলিশিং, দাঁত সাদা করা, ফিলিং, রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট, ডেঞ্চার, ফ্লেক্সিবল ডেঞ্চার, পারসিয়াল ডেঞ্চার, কমপ্লিট ডেঞ্চার, ব্রিজ, ক্যাপ ইত্যাদি সেবা প্রদান করা হয়। কেন্দ্রটি মেট্রোরেল পিলার নম্বর ২৪৯-এর কাছে অবস্থিত, যা রোগীদের জন্য সহজে পৌঁছানোর সুবিধা প্রদান করে। 

ঠিকানা: আব্দুল আলী মাদবর ম্যানশন, সেকশন-৬, ব্লক-খ, রোড-১, প্লট-১১, মেট্রোরেল পিলার নম্বর ২৪৯, মিরপুর-১০ নম্বর গোলচত্ত্বর, ঢাকা-১২১৬।

ফোন নম্বর: ০১৭৯৭৫২২১৩৬, ০১৯৮৭০৭৩৯৬৫

দাঁতের চিকিৎসা সমূহ যা আমাদের এখানে করানো হয়

স্কেলিং, পলিশিং, দাঁত সাদা করা, ফিলিং, রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট, ডেঞ্চার, ফ্লেক্সিবল ডেঞ্চার, পারসিয়াল ডেঞ্চার, কমপ্লিট ডেঞ্চার, ব্রিজ, ক্যাপ ইত্যাদি

দাঁতের স্কেলিং: ভাল মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র- ভাল মানের স্কেলিং।।

দাঁতের স্কেলিং হল একটি ডেন্টাল চিকিৎসা পদ্ধতি যার মাধ্যমে দাঁতের উপর জমে থাকা প্লাক (Plaque) ও টার্টার (Calculus বা ক্যালকুলাস) পরিষ্কার করা হয়। প্রতিদিন নিয়মিত ব্রাশ করলেও কিছু খাবার ও জীবাণু দাঁতের গাপে জমে গিয়ে কঠিন স্তর তৈরি করে, যাকে টার্টার বলা হয়। এটি দাঁতের রং নষ্ট করে ও মাড়ির রোগের অন্যতম প্রধান কারণ।

স্কেলিং করলে দাঁত ঝকঝকে হয়ে যায় এবং মুখে একটি ফ্রেশ অনুভূতি আসে। এটি মাড়ির রক্তপাত, মুখের দুর্গন্ধ এবং দাঁতের অকাল ক্ষয় রোধে অত্যন্ত কার্যকর। আধুনিক ডেন্টাল স্কেলার মেশিন ব্যবহার করে স্কেলিং করা হয় যা সম্পূর্ণ নিরাপদ এবং ব্যথাহীন। চিকিৎসা শেষে কখনো কখনো দাঁত সাময়িকভাবে সংবেদনশীল হতে পারে, যা সাধারণত এক-দুই দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যায়।

প্রতি ৬ মাস থেকে ১ বছরের ব্যবধানে স্কেলিং করানো দাঁতের সুস্থতার জন্য উপকারী। এটি দাঁত ফাঁকা করে না বা দাঁতের ক্ষতি করে না, বরং দীর্ঘমেয়াদে দাঁত ও মাড়ি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

সুস্থ দাঁত মানে সুন্দর হাসি — তাই সময়মতো স্কেলিং করিয়ে নিন এবং নিজের হাসিতে আত্মবিশ্বাস আনুন।

দাঁতের পলিশিং: ভাল মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-ভাল মানের পলিশিং।।

দাঁতের পলিশিং হল একটি ডেন্টাল প্রক্রিয়া যার মাধ্যমে দাঁতের উপরিভাগ মসৃণ ও ঝকঝকে করে তোলা হয়। স্কেলিংয়ের মাধ্যমে দাঁতের উপর থেকে প্লাক ও টার্টার সরানোর পর পলিশিং করা হয়, যাতে দাঁতের পৃষ্ঠ মসৃণ হয়ে যায় এবং নতুন করে ময়লা জমা হতে না পারে।

এই পদ্ধতিতে একটি নরম রাবার কাপ ও বিশেষ পলিশিং পেস্ট ব্যবহার করা হয়। এতে দাঁত যেমন চকচকে দেখায়, তেমনি মুখে হয় ফ্রেশ অনুভূতি। দাঁতের দাগ বা স্টেইন যেমন চা, কফি, তামাক বা অন্যান্য খাবার থেকে হওয়া দাগগুলোও অনেকাংশে হালকা বা দূর হয়ে যায়। দাঁতের রঙও স্বাভাবিক সাদা ফিরে পায়।

পলিশিং দাঁতের কোনো ক্ষতি করে না, বরং এটি দাঁত ও মাড়ির জন্য উপকারী। এটি মুখের দুর্গন্ধ কমাতে সাহায্য করে এবং দীর্ঘমেয়াদে ডেন্টাল স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সহায়ক। দাঁতকে স্বাস্থ্যকর ও আকর্ষণীয় রাখার জন্য প্রতি ৬ মাস পরপর স্কেলিং ও পলিশিং করানো ভালো।

যারা ঝকঝকে সাদা দাঁত ও স্বাস্থ্যকর হাসি চান, তাদের জন্য দাঁতের পলিশিং একটি সহজ ও কার্যকর উপায়।

দাঁতের ফিলিং: ভাল মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-ভাল মানের ফিলিং।।

দাঁতের ফিলিং একটি সাধারণ কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ডেন্টাল চিকিৎসা, যা দাঁতের গর্ত বা ক্যাভিটি পূরণে ব্যবহার করা হয়। বিভিন্ন কারণে দাঁতে গর্ত হতে পারে—অতিরিক্ত মিষ্টি খাওয়া, নিয়মিত ব্রাশ না করা, জীবাণুর আক্রমণ ইত্যাদি। সময়মতো চিকিৎসা না করলে এই গর্ত বড় হয়ে গিয়ে দাঁতের ভেতরের অংশে সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে, যা পরে রুট ক্যানাল বা এক্সট্রাকশনের প্রয়োজন করতে পারে।

ফিলিং-এর মাধ্যমে দাঁতের নষ্ট অংশটি পরিষ্কার করে সেখানে বিশেষ ফিলিং ম্যাটেরিয়াল ব্যবহার করে গর্তটি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে দাঁতের স্বাভাবিক রূপ ও কার্যকারিতা ফিরে আসে এবং ব্যথা বা সংবেদনশীলতা থেকেও মুক্তি মেলে।

বর্তমানে কম্পোজিট (সাদা) ফিলিং বেশ জনপ্রিয়, কারণ এটি দাঁতের সঙ্গে মিলিয়ে করা যায় এবং দেখতেও প্রাকৃতিক লাগে। এছাড়া অ্যমালগাম, গ্লাস আয়োনোমারসহ আরও কিছু ফিলিং ম্যাটেরিয়ালও ব্যবহৃত হয় রোগীর প্রয়োজন অনুযায়ী।

ফিলিং করানোর পর ভালোভাবে ব্রাশ করা, নিয়মিত চেকআপ ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস ধরে রাখা জরুরি। দাঁতের ছোট সমস্যাকে বড় হতে না দিয়ে সময়মতো ফিলিং করানো মানে আপনার দাঁতকে দীর্ঘ সময়ের জন্য সুস্থ রাখা।

দাঁতের রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট: ভাল মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-ভাল মানের রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট ।।

রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট (Root Canal Treatment বা RCT) হল দাঁতের একটি উন্নত চিকিৎসা পদ্ধতি, যা দাঁতের ভেতরের সংক্রমিত বা নষ্ট হয়ে যাওয়া নার্ভ ও টিস্যু (পাল্প) অপসারণের মাধ্যমে দাঁতকে সংরক্ষণ করে। যখন দাঁতের গর্ত (ক্যাভিটি) অনেক গভীরে চলে যায় বা দাঁতের ভেতরে ইনফেকশন হয়, তখন ব্যথা, ফুলে যাওয়া বা দাঁত হিম/গরমে সংবেদনশীল হওয়ার মতো সমস্যার সৃষ্টি হয়। এই অবস্থায় রুট ক্যানেল ট্রিটমেন্ট একমাত্র কার্যকর সমাধান।

চিকিৎসার ধাপে ধাপে দাঁতের ভেতরের ইনফেকটেড পাল্প অপসারণ করা হয়, তারপর ভেতরটা পরিষ্কার করে বিশেষ মেডিসিন ও ফিলিং দিয়ে পূরণ করা হয়, যাতে ইনফেকশন আবার না হয়। শেষ ধাপে প্রয়োজনে দাঁতের উপর একটি ক্রাউন (cap) বসানো হয়, যাতে দাঁত আরও শক্ত থাকে এবং সহজে ভাঙে না।

এই চিকিৎসাটি আধুনিক প্রযুক্তিতে সাধারণত ব্যথাহীনভাবে সম্পন্ন হয় এবং দাঁত তুলে না ফেলে সেটি দীর্ঘ সময় ব্যবহারযোগ্য রাখে। যারা দাঁতের ব্যথায় কষ্ট পাচ্ছেন অথচ দাঁত তুলতে চাইছেন না, তাদের জন্য রুট ক্যানেল একটি নিরাপদ ও কার্যকর বিকল্প।

দাঁতের ডেঞ্চার: ভাল মানের অত্যাধুনিক দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-অত্যাধুনিক ডেঞ্চার ।।

ডেঞ্চার হল কৃত্রিম দাঁতের একটি সেট, যা প্রাকৃতিক দাঁত হারিয়ে ফেললে তার পরিবর্তে ব্যবহার করা হয়। এটি মুখের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনে, খাবার চিবানো ও কথা বলার সমস্যা দূর করে এবং আত্মবিশ্বাস বাড়ায়। বয়সজনিত কারণে, দুর্ঘটনা বা দাঁতের রোগে এক বা একাধিক দাঁত হারিয়ে গেলে ডেঞ্চার একটি কার্যকর ও জনপ্রিয় সমাধান।

ডেঞ্চার দুই ধরনের হতে পারে:

  1. ফুল ডেঞ্চার (Full Denture) – যখন মুখের সব দাঁত হারিয়ে যায়।
  2. পার্শিয়াল ডেঞ্চার (Partial Denture) – যখন কিছু দাঁত হারিয়েছে, আর কিছু আছে।

আধুনিক ডেঞ্চার হালকা, আরামদায়ক ও দেখতে একেবারে প্রাকৃতিক দাঁতের মতো। এটি সাধারণত প্লাস্টিক, অ্যাক্রিলিক বা মেটালের সমন্বয়ে তৈরি হয়। সঠিকভাবে তৈরি ও ব্যবহার করলে ডেঞ্চার অনেক বছর টেকে।

ডেঞ্চার ব্যবহারের প্রথম দিকে কিছুটা অস্বস্তি হতে পারে, তবে কয়েকদিনে অভ্যস্ত হয়ে গেলে এটি স্বাভাবিক মনে হয়। নিয়মিত পরিষ্কার ও যত্ন নিলে ডেঞ্চার পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত থাকে, এবং মুখের স্বাস্থ্যও ভালো থাকে।

যারা দাঁত হারিয়ে সমস্যায় ভুগছেন, তাদের জন্য ডেঞ্চার একটি সহজ, কার্যকর ও সাশ্রয়ী সমাধান।

দাঁতের ফ্লেক্সিবল ডেঞ্চার: ভাল মানের অত্যাধুনিক দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-ভাল মানের অত্যাধুনিক ফ্লেক্সিবল ডেঞ্চার ।।

ফ্লেক্সিবল ডেঞ্চার হলো এক ধরনের কৃত্রিম দাঁত যা নমনীয়, হালকা ও আরামদায়ক উপাদান দিয়ে তৈরি। এটি মূলত যারা কিছু দাঁত হারিয়েছেন কিন্তু পুরোপুরি ডেন্টাল ইমপ্ল্যান্ট বা হার্ড ডেঞ্চার নিতে চান না, তাদের জন্য আদর্শ একটি সমাধান।

এই ডেঞ্চার সাধারণত নাইলন বা থার্মোপ্লাস্টিক উপাদান দিয়ে তৈরি হয়, যা মুখের ভেতরে স্বাভাবিকভাবে মানিয়ে নিতে পারে এবং অ্যালার্জির সম্ভাবনাও কম। এটি ভেঙে যাওয়ার সম্ভাবনাও কম থাকে, কারণ এটি সহজে বেঁকে যায় এবং চাপ সহ্য করতে পারে।

ফ্লেক্সিবল ডেঞ্চারের সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এর আরামদায়ক ফিট এবং স্বচ্ছ হুক, যা বাইরে থেকে সহজে বোঝা যায় না। এটি মুখে কম চাপে বসে, ফলে গাম বা মাড়ির ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কম। অনেকেই যারা মেটাল ডেঞ্চার ব্যবহার করতে অস্বস্তি বোধ করেন, তাদের জন্য এটি বেশ উপযোগী।

তবে নিয়মিত পরিষ্কার ও যত্ন নেওয়া জরুরি, নাহলে ইনফেকশন বা দুর্গন্ধ হতে পারে। একজন অভিজ্ঞ দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী এটি ব্যবহার করাই উত্তম। ফ্লেক্সিবল ডেঞ্চার আধুনিক, আরামদায়ক এবং কার্যকর একটি সমাধান দাঁত হারানোর পর।

দাঁতের কমপ্লিট ডেঞ্চার: ভাল মানের অত্যাধুনিক দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-ভাল মানের অত্যাধুনিক কমপ্লিট ডেঞ্চার ।।

কমপ্লিট ডেঞ্চার হলো একটি পূর্ণ কৃত্রিম দাঁতের সেট যা তখন ব্যবহার করা হয় যখন কারো উপরের বা নিচের বা উভয় চোয়ালের সব দাঁতই পড়ে গেছে। এটি মূলত অ্যাক্রিলিক রেজিন বা মেটাল বেস দিয়ে তৈরি হয় এবং গাম বা মাড়ির উপর বসে মুখের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা পুনরুদ্ধার করে।

কমপ্লিট ডেঞ্চারের মূল উদ্দেশ্য হলো চিবানো, কথা বলা ও মুখের স্বাভাবিক আকার বজায় রাখা। দাঁত হারালে চেহারায় বয়সের ছাপ পড়ে, গাল ভিতরে ঢুকে যায়। এই ডেঞ্চার মুখের গঠন ঠিক রাখতে সাহায্য করে। চিকিৎসক রোগীর মুখের ছাঁচ অনুযায়ী ডেঞ্চার তৈরি করে থাকেন যাতে এটি আরামদায়কভাবে বসে।

প্রথমদিকে ডেঞ্চার ব্যবহারে কিছুটা অস্বস্তি বা কথা বলতে সমস্যা হতে পারে, তবে কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যবহারকারী অভ্যস্ত হয়ে যান। এটি প্রতিদিন পরিষ্কার রাখতে হয় এবং রাতে না পরে রাখাই ভালো।

কমপ্লিট ডেঞ্চার একটি নিরাপদ ও অর্থনৈতিক সমাধান, বিশেষ করে যারা ইমপ্ল্যান্ট করতে পারেন না বা চান না তাদের জন্য। সঠিকভাবে ব্যবহার ও যত্ন নিলে এটি বহু বছর ধরে কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যায়। নিয়মিত দন্তচিকিৎসকের চেকআপে থাকলে ডেঞ্চার দীর্ঘস্থায়ী হয় ও আরামদায়ক থাকে।

দাঁতের ব্রিজ: ভাল মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-ভাল মানের ব্রিজ।।

দাঁতের ব্রিজ হলো একটি কৃত্রিম দাঁতের স্থায়ী সমাধান, যা এক বা একাধিক হারানো দাঁতের স্থান পূরণ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি আশেপাশের প্রাকৃতিক দাঁত বা ইমপ্ল্যান্টের ওপর নির্ভর করে বসানো হয়, যেন হারানো দাঁতের ফাঁকা জায়গা পূরণ হয় এবং মুখের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা বজায় থাকে।

দাঁতের ব্রিজ সাধারণত পোরসেলিন, সিরামিক বা মেটালের সমন্বয়ে তৈরি হয়। এটি দুই পাশের দাঁতকে ফিক্স করে মাঝখানের ফাঁকা জায়গায় কৃত্রিম দাঁত বসিয়ে একটি ব্রিজের মতো কাজ করে। এর মাধ্যমে চিবানো, কথা বলা ও চেহারার সৌন্দর্য পুনরুদ্ধার করা যায়।

ব্রিজ বসানোর আগে পাশের দাঁত কিছুটা গিলে (shave করে) প্রস্তুত করা হয়, যাতে ব্রিজটি ঠিকভাবে বসে। একবার বসানোর পর এটি স্থায়ীভাবে মুখে থাকে এবং খোলার প্রয়োজন হয় না।

ব্রিজের সুবিধা হলো এটি দেখতে একদম প্রাকৃতিক দাঁতের মতো এবং যথেষ্ট টেকসই। তবে এটি দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে নিয়মিত ব্রাশ, ফ্লস এবং ডেন্টিস্টের পরামর্শে মুখের যত্ন নিতে হয়।

দাঁতের ব্রিজ হলো একটি কার্যকর, স্থায়ী ও নান্দনিক সমাধান দাঁত হারানোর পর। এটি জীবনের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

দাঁতের ক্যাপ: ভাল মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-ভাল মানের দাঁতের ক্যাপ।।

দাঁতের ক্যাপ বা ডেন্টাল ক্রাউন হলো একটি কৃত্রিম আবরণ, যা ক্ষতিগ্রস্ত, দুর্বল বা ভাঙা দাঁতের ওপর স্থাপন করা হয়, যাতে দাঁতটির গঠন, শক্তি ও কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায়। এটি দাঁতের ওপর একধরনের ঢাকনার মতো বসে এবং দাঁতকে বাইরের চাপ ও ক্ষয় থেকে রক্ষা করে।

ক্যাপ সাধারণত পোরসেলিন, মেটাল, সিরামিক বা তাদের সংমিশ্রণ দিয়ে তৈরি হয়। চিকিৎসক রোগীর দাঁতের অবস্থা অনুযায়ী উপযুক্ত ক্যাপের উপাদান বেছে নেন। ক্যাপ বসানোর আগে দাঁতটি কিছুটা গিলে ছোট করা হয়, যাতে ক্যাপটি ঠিকমতো বসে যায় এবং স্বাভাবিকভাবে মুখে মানিয়ে নেয়।

দাঁতের ক্যাপ বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করা হয় — যেমন বড় ক্যাভিটির পর, রুট ক্যানাল থেরাপির পরে, দাঁত ভেঙে গেলে বা রঙ পরিবর্তন হয়ে গেলে। এটি শুধু কার্যকারিতা নয়, বরং চেহারার সৌন্দর্যও বাড়ায়, কারণ আধুনিক ক্যাপ দেখতে প্রাকৃতিক দাঁতের মতোই হয়।

ক্যাপ দীর্ঘস্থায়ী করতে হলে ভালোভাবে মুখের যত্ন নেওয়া জরুরি — নিয়মিত ব্রাশ, ফ্লস এবং ডেন্টিস্টের চেকআপ প্রয়োজন। সঠিকভাবে বসানো ক্যাপ ১০-১৫ বছর বা তারও বেশি সময় টিকে থাকতে পারে।

দাঁতের ক্যাপ একটি কার্যকর, নান্দনিক ও প্রতিরক্ষামূলক সমাধান, যা মুখের স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্য দুটিই বজায় রাখতে সাহায্য করে।

আঁকাবাকা দাঁতের কারেকশন: ভাল মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-ভাল মানের আঁকাবাকা দাঁতের কারেকশন।।

আঁকাবাকা বা বাকা দাঁত শুধুমাত্র সৌন্দর্যের সমস্যাই নয়, বরং এটি চিবানো, কথা বলা এবং মুখের স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে। এই ধরনের দাঁতের কারেকশনের জন্য আজকাল নানা আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে, যার মাধ্যমে দাঁতকে সঠিকভাবে সাজানো যায়।

সর্বাধিক প্রচলিত পদ্ধতি হলো ব্রেসেস (Braces), যা দাঁতের ওপর চাপ প্রয়োগ করে ধীরে ধীরে দাঁতগুলোকে সঠিক স্থানে নিয়ে আসে। ব্রেসেস বিভিন্ন ধরণের হতে পারে – মেটাল, সিরামিক বা ইনভিজিবল (Invisalign)। Invisalign হলো স্বচ্ছ ও খুলে রাখা যায় এমন প্লাস্টিক শিট, যা দেখতে প্রায় চোখে পড়ে না এবং ব্যবহারেও আরামদায়ক।

এই চিকিৎসা সাধারণত ১ থেকে ২ বছর সময় নেয়, রোগীর দাঁতের অবস্থার ওপর নির্ভর করে। চিকিৎসার আগে একজন অর্থোডন্টিস্ট (দাঁতের গঠন সংশোধনের বিশেষজ্ঞ) দাঁতের পূর্ণ মূল্যায়ন করেন এবং উপযুক্ত পদ্ধতি নির্ধারণ করেন।

আঁকাবাকা দাঁতের চিকিৎসা শুধু চেহারার সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং দাঁতের স্বাস্থ্যও উন্নত করে। সঠিকভাবে দাঁত বসালে ব্রাশ ও ফ্লস করা সহজ হয়, ফলে ক্যাভিটি ও গাম ডিজিজের ঝুঁকি কমে যায়।

আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে দাঁতের গঠন সুন্দর করা এখন সহজ, কার্যকর ও দীর্ঘস্থায়ী – যার মাধ্যমে আপনি ফিরে পেতে পারেন সুন্দর হাসি ও আত্মবিশ্বাস।

উচু নিচু দাঁতের কারেকশন: ভাল মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র-ভাল মানের উচু নিচু দাঁতের কারেকশন।।

উঁচু-নিচু দাঁত অনেক সময় জন্মগতভাবে হয়ে থাকে বা দাঁতের বেড়ে ওঠার সময় ঠিকভাবে না বসলে এমন সমস্যা দেখা দেয়। এই সমস্যা শুধুমাত্র সৌন্দর্য নষ্ট করে না, বরং চিবানো, কথা বলা এবং মুখের স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। সৌভাগ্যক্রমে, আধুনিক দন্তচিকিৎসায় এর কার্যকর সমাধান রয়েছে।

উঁচু-নিচু দাঁতের কারেকশনের জন্য সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতি হলো অর্থোডন্টিক চিকিৎসা, যেমন ব্রেসেস বা ইনভিজিবল অ্যালাইনার (Invisalign)। ব্রেসেস দাঁতের ওপর ক্রমাগত চাপ প্রয়োগ করে দাঁতকে ধীরে ধীরে সঠিক স্তরে নিয়ে আসে। Invisalign হলো স্বচ্ছ, খুলে রাখা যায় এমন প্লাস্টিক অ্যালাইনার, যা দেখতে প্রায় অদৃশ্য এবং অনেক আরামদায়ক।

কখনো কখনো অতিরিক্ত উঁচু দাঁতকে ফাইলিং (গাছে কাটা) করে সমান করা হয়, আবার কিছু ক্ষেত্রে কৃত্রিম ক্যাপ বা ভিনিয়ার দিয়ে দাঁতের উচ্চতা সামঞ্জস্য করা হয়।

চিকিৎসার সময়কাল দাঁতের অবস্থা অনুযায়ী ভিন্ন হতে পারে, তবে সাধারণত ৬ মাস থেকে ২ বছর লাগে। চিকিৎসা চলাকালীন মুখের স্বাস্থ্য ভালো রাখা খুবই জরুরি।

উঁচু-নিচু দাঁতের কারেকশন মুখের সৌন্দর্য বাড়ানোর পাশাপাশি দাঁতের কার্যকারিতা এবং আত্মবিশ্বাসও বৃদ্ধি করে। সঠিক চিকিৎসার মাধ্যমে সুন্দর ও স্বাস্থ্যকর হাসি ফিরে পাওয়া সম্ভব।

দাঁত তোলা: উন্নত মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র- আধুনিক পদ্ধতিতে দাঁত তোলা হয় ।।

দাঁত তোলা বা টুথ এক্সট্র্যাকশন হলো এমন একটি প্রক্রিয়া, যেখানে দাঁতের সমস্যার কারণে সেটি শারীরিকভাবে মুখ থেকে সরিয়ে ফেলা হয়। সাধারণত অতিরিক্ত ক্যাভিটি, সংক্রমণ, দাঁতের গোড়ায় পচন, মাড়ির রোগ, ভাঙা দাঁত অথবা ব্রেসেস দেওয়ার আগে স্থান তৈরি করার প্রয়োজন হলে দাঁত তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

দাঁত তোলার আগে চিকিৎসক এক্স-রে করে দাঁতের অবস্থান, শিকড়ের গঠন এবং সংলগ্ন হাড়ের অবস্থা পরীক্ষা করেন। স্থানীয় অ্যানেস্থেশিয়া ব্যবহার করে জায়গাটি অবশ করে তোলা হয়, ফলে ব্যথা অনুভূত হয় না। জটিল ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল এক্সট্র্যাকশন করা হয়, যেখানে কেটে দাঁত বের করতে হয়।

দাঁত তোলার পর কিছু সময় রক্তপাত হতে পারে, তবে গজ দিয়ে চেপে ধরা হলে রক্ত বন্ধ হয়ে যায়। এক্সট্র্যাকশনের পরদিন কিছুটা ব্যথা বা ফোলাভাব থাকতে পারে, তবে ওষুধ এবং বরফ সেঁক দিলে তা কমে যায়।

তোলা দাঁতের জায়গায় ভবিষ্যতে সমস্যা এড়াতে ব্রিজ, ইমপ্ল্যান্ট বা ডেন্টার ব্যবহার করা যেতে পারে। দাঁত তোলার পর কিছু নিয়ম মানা জরুরি— যেমন গরম খাবার না খাওয়া, স্ট্র দিয়ে না খাওয়া এবং মুখ ধুতে গিয়ে জোরে কুলকুচি না করা।

দাঁত তোলা এখন আধুনিক চিকিৎসায় নিরাপদ ও দ্রুতপ্রক্রিয়াজনিত, যা সঠিকভাবে করলে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।

দাঁত বাধানো: উন্নত মানের দাঁতের চিকিৎসা কেন্দ্র- উন্নত পদ্ধতিতে দাঁত বাধানো হয় ।।

দাঁত বাঁধানো বলতে সাধারণত দুটি বিষয় বোঝানো হয়—কোনো ক্ষতিগ্রস্ত দাঁত পূরণ (ফিলিং) করে মেরামত করা অথবা সম্পূর্ণ হারানো দাঁতের জায়গায় কৃত্রিম দাঁত (ডেন্টার) বসানো। উভয় ক্ষেত্রেই দাঁতের স্বাভাবিক গঠন, কার্যকারিতা এবং সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা হয়।

যদি দাঁতে ক্যাভিটি বা গর্ত থাকে, তবে ডেন্টিস্ট সেই ক্ষতিগ্রস্ত অংশ সরিয়ে সেখানে ফিলিং দিয়ে দাঁত বাঁধিয়ে দেন। এই ফিলিং মেটাল, কম্পোজিট রেজিন বা সিরামিক দিয়ে তৈরি হতে পারে, যা দেখতে প্রাকৃতিক দাঁতের মতো এবং দীর্ঘস্থায়ী।

অন্যদিকে, যদি দাঁত সম্পূর্ণভাবে উঠে যায়, তাহলে সেই ফাঁকা জায়গায় ডেন্টার, ব্রিজ, বা ইমপ্ল্যান্ট বসিয়ে দাঁত বাঁধানো হয়। ডেন্টার হতে পারে ফিক্সড (স্থায়ীভাবে বাঁধানো) বা রিমুভেবল (খুলে রাখা যায় এমন)। ফিক্সড দাঁত বাঁধানোর ফলে মুখের স্বাভাবিক কাজ যেমন চিবানো, কথা বলা ও হাসি—সবই স্বাভাবিকভাবে ফিরে আসে।

দাঁত বাঁধানোর পরে কিছুদিন মুখের যত্ন বেশি নিতে হয়। নিয়মিত ব্রাশ, ফ্লস ও চেকআপ করলে বাঁধানো দাঁত দীর্ঘদিন ভালো থাকে।

সঠিকভাবে দাঁত বাঁধালে তা প্রাকৃতিক দাঁতের মতোই কার্যকর হয়। আধুনিক দন্ত চিকিৎসায় দাঁত বাঁধানো একটি নিরাপদ, আরামদায়ক ও দীর্ঘস্থায়ী সমাধান। এটি মুখের সৌন্দর্য ও আত্মবিশ্বাস—উভয়ই বৃদ্ধি করে।

আমাদের কাজের কিছু প্রমান চিত্র:

আমাদের কাজের কিছু প্রমান চিত্র নিম্নে উল্লেখ করা হলো :

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Scroll to Top